বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকায় অগ্রাধিকার করোনাযোদ্ধাদের: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৪১

‘আশার কথা বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯-এর টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও আমরা দ্রুত টিকা নিয়ে আসার সব ধরনের চেষ্টা করছি। …টিকা আসার পর পরই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য-সহ সম্মুখসারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা প্রদান করা হবে।’

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যারা প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন, টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে তারা অগ্রাধিকার পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনাকালে অর্থনীতির ক্ষত সারাতে তার সরকারের আমলে নানান পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেছেন, টিকার প্রয়োগ শুরু হলে এই ভাইরাস মোকাবিলা অনেক সহজ হবে।

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আরোহণের দুই বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এই ভাষণে গত ১২ বছরের উন্নয়নের বর্ণনাই তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে টানা সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।

এই ভাষণের প্রথম দিকেই শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মহামারির কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা প্রয়োগের উল্লেখ করেন। বলেন, বাংলাদেশেও প্রয়োগ হবে টিকা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশার কথা বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯-এর টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও আমরা দ্রুত টিকা নিয়ে আসার সব ধরনের চেষ্টা করছি।

‘টিকা আসার পর পরই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সম্মুখসারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা প্রদান করা হবে।’

বাংলাদেশে এখনও সংক্রমণ ও মৃত্যুহার অনেক কম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখার।’

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের সদস্যসহ সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের আন্তরিক ধন্যবাদও জানান শেখ হাসিনা।

ভাইরাস সংক্রমণের পর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার যেসব মানুষ দরিদ্র-অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন, তাদেরও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, ‘যাদের মৃত্যু হয়েছে আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এক গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে আমাদের বিগত ২০২০ সাল অতিক্রম করতে হয়েছে।

‘সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং উপর্যুপরি বন্যা আমাদের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। আমরা সেসব ধকল দৃঢ়তার সঙ্গে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি।’

মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশের অর্থনীতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়েছে।’

বিভিন্ন নীতি-সহায়তা ও উদারনৈতিক আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি, যা মোট জিডিপির ৪.৩ শতাংশ।

‘পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা সে প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রেখেছি। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় আড়াই কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে আমরা নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তার আওতায় এনেছি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর