ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি।
তদন্ত কর্মকর্তার ব্যর্থতার পর তাকে আরও প্রায় এক মাস সময় দিয়েছেন বিচারক। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ ঠিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়।
পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম বাকী বিল্লাহ সময় বাড়িয়ে দেন।
গত ৭ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মামলাটি করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।
ওই সমাবেশে তিনি বলেন, প্রয়োজনে লাশের পর লাশ পড়বে, তবুও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেয়া হবে না। সরকার ভাস্কর্য নির্মাণের চেষ্টা করলে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে।
বাদী বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের সৈনিক হিসেবে অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছেন। স্বাধীনতার স্থপতিকে নিয়ে মামুনুলের এই বক্তব্যে দেশের কোটি কোটি মানুষ আবেগ তাড়িত হয়েছে।
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে মামুনুলরা মাঠে নামেন নভেম্বরের শেষে। শুরুতে সরকারি দল চুপ থাকলেও তারা মাঠে নামার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
মামুনুল এক পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, তারা ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধী। তবে এটি নির্মাণে বাধা দেবেন না।
বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে কওমি মাদ্রাসার নেতাদের। এরপর এই ইস্যুতে বিরোধীরা আর মাঠে নামবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে উত্তেজক বক্তব্য দিয়ে মামুনুল ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আসামি হয়েছেন হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরী এবং ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির ফয়জুল করীমও। সেই মামলাতেও মামুনুল আসামি।