বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তানের কাছে সম্পত্তির ভাগ চাইল সরকার

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:১৫

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কোনো দেশ বিভক্ত হয়ে পড়লে বা স্বাধীন হলে দেশটির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিও বণ্টন হয়ে থাকে। অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদের একটি অংশ বাংলাদেশের প্রাপ্য হলেও স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও বাংলাদেশ কোনো সম্পদ পাকিস্তানের কাছ থেকে পায়নি। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাব পাকিস্তানের কাছে চার বিলিয়ন ডলার চেয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পত্তির ভাগ বুঝিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকায় পাকিস্তানের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ইমরান আহমদ সিদ্দীকি বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে এই পরামর্শ দেয়া হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে আটকা পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন, দুই দেশের সম্পত্তি ভাগাভাগি বিষয়টি নিষ্পত্তিসহ অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় ইস্যু সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

মুক্তিযুদ্ধের সময় নজিরবিহীন গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, সম্পদ ধ্বংসের জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি পুরনো। পাকিস্তানের নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে জোর দাবি আছে। তবে সে দেশের সরকার কখনও দাবিটি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি।

সেই সঙ্গে সম্পদের বণ্টন আর যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবিও আছে।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কোনো দেশ বিভক্ত হয়ে পড়লে বা স্বাধীন হলে দেশটির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিও বণ্টন হয়ে থাকে। অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদের একটি অংশ বাংলাদেশের প্রাপ্য হলেও স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও বাংলাদেশ কোনো সম্পদ পাকিস্তানের কাছ থেকে পায়নি।

ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যক্রম পরিচালনা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাব পাকিস্তানের কাছে চার বিলিয়ন ডলার চেয়েছিল।

বিদ্যমান সাফটা চুক্তিকে ব্যবহার করে নেতিবাচক শুল্ক শিথিল করে এবং বাণিজ্য বাধা দূর করে আরও বেশি বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের জন্যও পাকিস্তানকে আহ্বান জানান শাহরিয়ার।

বর্তমান বাণিজ্য ভারসাম্য পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে বলেও নতুন হাই কমিশনারকে মনে করিয়ে দেন প্রতিমন্ত্রী।

পাকিস্তানি হাই কমিশনার বলেন, সহযোগিতার প্রতিটি সম্ভাব্য ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে তার দেশের যথাসাধ্য চেষ্টা থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাাংলাদেশ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর বৈদেশিক নীতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এই চেতনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকা পাকিস্তানের সঙ্গেও সম্পর্কন্নোয়ন করতে চায়।

প্রতিমন্ত্রী হাইকমিশনারকে দায়িত্ব পালনে সব ধরনের সহযোগিতা ও সহায়তার আশ্বাসও দেন।

এ বিভাগের আরো খবর