প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, অন্য কমিশনার, বর্তমান সচিব, সদ্য সাবেক সচিবসহ কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের কাছে বৃহস্পতিবার লিখিত এ অভিযোগ দেন তারা।
লিখিত অভিযোগে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘দেশে আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমরা সর্বদা সচেষ্ট। আমরা মনে করি দুর্নীতি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অন্যতম অন্তরায়।’
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতি দমন বিধিমালা, ২০০৭-এর বিধি ৩ (১) অনুযায়ী এই অভিযোগ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আইনজীবীরা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ ভাতার নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ওই কর্মকর্তারা ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচের মাধ্যমে সরকারি অর্থের অপচয় করেছেন।
অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়ে পদ ছাড়াই ‘বিশেষ বক্তা’, ‘কোর্স পরিচালক’ ও ‘কোর্স উপদেষ্টা’ হিসেবে ভাড়া নেয়া, নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি এবং খাত পরিবর্তন করে ভাতা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আইনজীবীরা বলেন, কর্মকর্তারা তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৫১১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অভিযোগ আমলে নিয়ে ইসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ধারা ১৭(ক), ১৭(খ), এবং ১৭(গ) অনুযায়ী অনুসন্ধান, তদন্ত পরিচালনা এবং মামলার অনুরোধ করেন আইনজীবীরা।
অভিযোগকারী আইনজীবীরা হলেন মোহাম্মদ শিশির মনির, আসাদ উদ্দিন, মুজাহিদুল ইসলাম, জুবায়েদুর রহমান, আবদুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।