বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ম নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজুর সৎকার তিন দিন পর

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:৪৪

এদিকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রাজু সাহা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন রাজমিস্ত্রী জসীম মোল্লা। পূর্ববিরোধ ও মিস্ত্রির পারিশ্রমিকের টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে তাকে হত্যা করা হয়।

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রাজুর ধর্ম নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে তিনি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে এক মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন।

তার স্ত্রী জাকিয়ার কাছেই হস্তান্তর করা হয়েছে রাজুর মরদেহ। ইসলামি রীতিতে বুধবার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামে রাজু সাহা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন রাজমিস্ত্রী জসীম মোল্লা। পূর্ববিরোধ ও মিস্ত্রির পারিশ্রমিকের টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে তাকে হত্যা করা হয়।

রাজু কামারখালী ইউনিয়নের কামারখালী গ্রামের প্রয়াত সুজিত সাহার ছেলে। এই পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মাঝকান্দী গ্রামে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। পাশেই জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দিতে প্রায় এক বছর ধরে একটি বাড়ি নির্মাণ করছিলেন। ওই কাজ দেখাশোনা করতেন রাজু।

তাকে গত শনিবার দিবাগত রাতে হত্যা করা হয়। পরে শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকিতে মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয়। রোববার সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন সোমবার রাজুর মা অরুণা রানী সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মধুখালী থানায় মামলা করেন। এ ঘটায় ওই দিনই রাজমিস্ত্রী জসীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের তরুণী জাকিয়া দাবি করেন ২০১৮ সালের ৫ জুন রাজু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ৭ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে জাকিয়াকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির ছয় মাসের একটি সন্তান রয়েছে।

তবে রাজুর মায়ের দাবি ছিল তার ছেলে অবিবাহিত। এই প্রেক্ষাপটে রাজুর মৃতদেহ কার কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তার শেষকৃত্য কোন ধর্মের রীতি অনুযায়ী হবে, তা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে মঙ্গলবার মরদেহটি কোনো পক্ষের কাছেই হস্তান্তর না করে ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিম ঘরে রাখা হয়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা নিউজবাংলাকে জানান, রাজু ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে জাকিয়াকে বিয়ে করেছিলেন, কিনা তা তদন্ত করার জন্য মঙ্গলবার এসআই সাইফুদ্দিনকে ঢাকার মেট্রোপলিটন কোর্টে পাঠানো হয়। তদন্তে জাকিয়ার দাবির সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রমাণ হয়েছে রাজু ধর্মান্তরিত হয়ে জাকিয়াকে ইসলামি রীতিতে বিয়ে করেছিলেন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, রাজুর ধর্মান্তরিত হওয়া ও বিয়ের ঘটনাটি নিশ্চিতের পর বুধবার মধুখালী থানায় রাজুর মাসহ পরিবারের সদস্য এবং তার স্ত্রী ও এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে স্ত্রী জাকিয়ার কাছে রাজুর মৃতদেহ তুলে দেয়া হয়। ইসলামি রীতি মেনে রাজুর মরদেহ দাফনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এদিকে রাজুকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন রাজমিস্ত্রী জসীম মোল্লা। মঙ্গলবার ফরিদপুরের ৫ নম্বর আমলি আদালতের বিচারিক হাকিম সাদীয়া আফরিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে জসীমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর