বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উপজেলায় ইউএনওর ক্ষমতা কেন বেশি: হাইকোর্ট

  •    
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:২০

বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করেছে, নির্বাচিত জনপ্রতিধিদের বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউএনওরাই সামন্তবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইউএনওরা সব কিছু উপেক্ষা করে উপজেলায় শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।  

উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধির থেকে নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা কেন বেশি, এ বিষয়ে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে উচ্চ আদালত।

নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ থাকার পরও উপজেলার নির্বাহী ক্ষমতাকে (ইউএনও) বেশি ক্ষমতা দেয়া সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।

পরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন হাসান মুহাম্মদ শাহনেওয়া আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

পরে আইনজীবী হাসান এম এস আজিম নিউজবাংলাকে বলেন, উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা সাংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের হয়েছিল। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।

সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যানরা ইউএনওদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন।

গত ২ জানুয়ারি রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন’ অভিযোগ করেছে, নির্বাচিত জনপ্রতিধিদের বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউএনওরাই সামন্তবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।

সংগঠনের অভিযোগ, উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলেও ইউএনওরা সব কিছু উপেক্ষা করে উপজেলায় শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

তারা এমনকি চিঠিপত্রে উপজেলা পরিষদ ব্যবহার না করে উপজেলা প্রশাসন শব্দ ব্যবহার করছেন। চেয়ারম্যানদের বদলে নিজেরাই সব কমিটির সভাপতি হয়েছেন। আয়-ব্যয়ের সিদ্ধান্তে চেয়ারম্যানদের মতামত দেয়ার জায়গা থাকছে না।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখা সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার চেয়ারম্যান। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা শাসন করতে পারছি না। আইন ও সংবিধান অনুযায়ী। আমাদের কাজে বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে। সব কাজ করছেন ইউএনওরা। অথচ জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। জনগণ আমাদের কাছে জবাবদিহিতা চায়।’

এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব জায়গায় কথা বলেছি। প্লিজ হেল্প আস।’

এই সংবাদ সম্মেলনের আগে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সংগঠনটি যায় উচ্চ আদালতে।

এতে উপজেলা পরিষদকে কার্যকর ও গতিশীল করতে এবং পরিষদের ওপর মাঠ প্রশাসনের বিশেষ করে ইউএনওর একক কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জ করা হয়।

তাদের বক্তব্য শুনে উচ্চ আদালতের রুলে উপজেলাধীন ১৭ টি বিভাগের অধিকাংশ কমিটিতে ইউএনওকে সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করার পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়।

এছাড়া উপজেলা পরিষদের অধীনে ১৭টি বিভাগের প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা চেয়ারম্যানের অনুমোদনবিহীন সম্পাদন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ ও ২০১১ (সংশোধীত) অনুযায়ী হস্তান্তরিত বিভাগসমূহের অনুমোদন ও জবাবদিহিবিহীন কার্যসম্পাদন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর