বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাউন্সিলরের ভবন ভেঙেছি, থাকবে না একটাও: আতিকুল

  •    
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৫৫

‘আমি জানতে চাইনি সে কাউন্সিলর না অন্য কেউ। বলেছি যত ক্ষমতাধর হোক না কেন, এই বিল্ডিং তাকে ভাঙতে হবে। সেই বিল্ডিং কিন্তু ভাঙা হচ্ছে। তাই বলব, সড়ক ফুটপাতের জায়গা যারা দখল করে আছেন, তারা নিজেরাই চলে যান।

খাল, সড়ক ও ফুটপাত দখল করে স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বলেছেন, দখলদার যতই শক্তিশালী হোক না কেন, যত বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।

বুধবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি সড়ক উদ্বোধন করতে এসে এসব কথা বলেন মেয়র আতিকুল।

সম্প্রতি ঢাকার দুই নগর কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে খাল পারের অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়ার অভিযানে জোর দিয়েছে। ঢাকা ওয়াসা থেকে খাল ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব পেয়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।

ইব্রাহিমপুর খালের দখল পরিস্থিতির উদাহরণ দিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি খালের সামনে দাঁড়ালাম। এর দৈর্ঘ্য ৬০ ফুট। যখন ফিতা দিয়ে মাপলাম দেখলাম ওই খাল হয়ে গেছে ১০ ফুট। খালের জায়গায় তিনতলা বিল্ডিং করছিল। আমি সেই বিল্ডিং ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

ভাসানটেক কাঁচাবাজার থেকে মাটিকাটা যাওয়ার পথে সড়কের জায়গায় একজন কাউন্সিলরের ভবনের বর্ধিতাংশ ভেঙে দেয়া হয়েছে বলেন জানান মেয়র। মেয়র বলেন, ‘আমি জানতে চাইনি সে কাউন্সিলর না অন্য কেউ। বলেছি যত ক্ষমতাধর হোক না কেন, এই বিল্ডিং তাকে ভাঙতে হবে। সেই বিল্ডিং কিন্তু ভাঙা হচ্ছে।’

‘তাই বলব, সড়ক ফুটপাতের জায়গা যারা দখল করে আছেন, তারা নিজেরাই চলে যান। প্রধানমন্ত্রী যেমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, তেমনি দখলদারদের বিরুদ্ধেও আমাদের জিরো টলারেন্স জারি থাকবে।’

মেয়র বলেন, ‘আমাদের সমস্যা আছে। কিছু সমস্যা মাসলম্যানদের তৈরি। আমরা দেখেছি কীভাবে তারা রাস্তাগুলোকে দখল করে নেয়।’

তেজগাঁওয়ের উত্তরা মটরস থেকে রানার বিল্ডিং পর্যন্ত যে সড়কটি মেয়র উদ্বোধন করেন, সেটার দৈর্ঘ্য ৬৮৬ মিটার। এতে ৬৫৬ মিটার পাইপ ড্রেন ও ৫৯০ মিটার ফুটপাতও রয়েছে।

সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে দুই কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা এই সড়কটি দেখভালের দায়িত্ব এলাকার বাসিন্দাদের ওপর ছেড়ে দেন মেয়র।

বলেন, ‘জনগণকে বলে যাচ্ছি, যে রাস্তা, যে খাল আমরা পরিষ্কার করে দেবো, সেই খাল, সেই রাস্তা আপনারাই তদারকি করবেন। সেই অঙ্গীকার আমরা আপনাদের কাছ থেকে চাই। সে দায়িত্ব আমি আপনাদের দিয়ে গেলাম।

‘অনেক কষ্ট করে আমার রাস্তা করি। অনেক কষ্ট করে আমরা ফুটপাত করি। অনেক কষ্ট করে ড্রেন থেকে ময়লা সাফ করি। আমরা বারবার পরিষ্কার করব। ময়লা করবে জনগণ, এটি হবে না। আপনাদের সাহায্য পেলে এটি একটি নন্দিত ঢাকা শহর হবে।’

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সফিউল্লাহ সফিও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর