মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে করা আয়কর ফাঁকির মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে আদালতে সাক্ষী দেন তৎকালীন সহকারী কর কমিশনার ও মামলাটির বাদী মাসুমা খাতুন।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে সাঈদীকে হাজির করা হয়।
করফাঁকির এ মামলায় সাঈদীই একমাত্র আসামি। বেলা ১১টায় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। এরপর সাক্ষী মাসুমা খাতুন শপথবাক্য পাঠ করে হিসেবে জবানবন্দি দেয়া শুরু করেন। আংশিক জবানবন্দি নেয়া হলে আদালত আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সাক্ষীর বাকি জবানবন্দি ও জেরার জন্য তারিখ ঠিক করে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা ও সাক্ষীকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী রেজাউল করিম বাচ্চু। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন।
আসামির আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন নিউজবাংলাকে জানান, বাদীর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি বেশ বড় হওয়ায় অনেক সময় তা এক দিনে শেষ করা সম্ভব হয় না। আর তা ছাড়া অনেক কাগজপত্রের কিছু বিষয়ও থাকে। এর ফলে আদালত বাদীর সাক্ষী আংশিক গ্রহণ করেছেন।
২০১১ সালের ১৯ আগস্ট ২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকা আয় গোপন করে তার ওপর প্রযোজ্য কর ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে এনবিআর মামলাটি করে। ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
- আরও পড়ুন: আর প্রিজন ভ্যানে আসতে হবে না সাঈদীকে
মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাঈদী বেঁচে যান আপিল বিভাগের রায়ে। ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ সাজা পাল্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড করে।
এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা চলছে। এর মধ্যে আয়কর ফাঁকি ছাড়াও আছে জাকাতের অর্থ আত্মসাৎ মামলা। জাকাত তহবিলের এক কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দুস্থদের না দিয়ে দলীয় তহবিলে দেয়ার অভিযোগে ওই মামলায় আগামী ১১ জানুয়ারি তাকে আবার আদালতে যেতে হবে।