বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কাজের অভাব নেই, সোনার হরিণ ধরতে ছুটবেন না’

  •    
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:৫৩

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই মনে করে বিদেশে গেলেই বুঝি অনেক অর্থ উপার্জন করা যায়। এমন প্রলোভনে পড়বেন না, দালালদের খপ্পরে পড়বেন না।’

দেশে কাজের সংকট নেই মন্তব্য করে বিদেশে চাকরির সোনার হরিণের পেছনে না ছোটার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সকালে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই মনে করে বিদেশে গেলেই বুঝি অনেক অর্থ উপার্জন করা যায়। এমন প্রলোভনে পড়বেন না, দালালদের খপ্পরে পড়বেন না। কারো প্ররোচনায় বিদেশে গিয়ে নিজের ও পরিবারের ক্ষতির কারণ হবেন না।

‘দেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে সেখানে দক্ষ কর্মী আমাদেরও লাগবে। কারো কাজের অভাব হবে না। দেশে কাজের অভাব নেই, খাবারের অভাব নেই। দয়া করে সোনার হরিণ ধরতে ছুটবেন না।’

এ সময় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিতে হবে। তাদের যেন কোনো সমস্যা না হয়। কাউকে বিদেশে পাঠানোর আগে সেখানে নিরাপত্তা আছে কি না এটা নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে মেয়েদের।

‘এ ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

করোনাভাইরাসের কারণে যারা বিদেশ চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরেছেন, তারা প্রবাসীকল্যাণ ব্যংকের মাধ্যমে সহজে ঋণ নিয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘করোনার জন্য অনেক দেশেরই অর্থনীতি স্থবির, যার কারণে অনেকেই কাজ হারিয়ে দেশে ফিরছেন। যারা দেশে ফিরে এসেছেন, তাদের জন্যও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

‘আপনারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন। হতাশ না হয়ে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করবেন। দেশের এখন অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট চলছে। এগুলোতেও অনেকেই কাজ পেয়েছেন। তাদেরও কিন্তু অভিজ্ঞতা হচ্ছে। এটি কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে বিদেশেও তারা কাজের সুযোগ পাবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই দেশ এগিয়ে যাক। এ জন্য আমরা অনেক উদ্যোগও নিয়েছি। দেশকে আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আজ বাজেটের ৯৮ ভাগই আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, যেসব দেশে অভিবাসীর সংখ্যা বেশি সেসব দেশে শ্রম উইং খোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘১০ হাজারের বেশি অভিবাসী যেখানে আছে, সেখানে আমরা শ্রম ইউং খুলছি। নিজেদের চ্যান্সেরি ভবন করছি যেন প্রবাসীরা এখানে এসে বসতে পারেন।

‘দেশের অর্থনীতি সচল রাখা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে প্রবাসীদের অনেক অবদান রয়েছে। এ ছাড়া প্রবাসীরা দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগও করতে পারেন।’

এ সময় প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

‘দক্ষ হয়ে বিদেশ যান’

বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণে বিদেশগমনেচ্ছুদের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যেই যখন যাবেন কী কাজ করতে যাচ্ছেন, তার ওপর ট্রেনিং নিতে হবে। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। আর এর জন্য আমরা কিন্তু যথেষ্ট সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি।

‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টার করে দিচ্ছি। সবাই যদি একটু ট্রেনিং নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে যান, তাহলে অর্থও বেশি উপার্জন করতে পারবেন, নিজেদের চাকরির নিরাপত্তাটাও থাকবে।’

সরকারের উদ্যোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলব। ইতিমধ্যে ৭০টা ছিল, আরও ৪০টা সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও ১০০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

‘নিজের এলাকায় বসে দক্ষ হয়ে যেন বিদেশ যেতে পারেন সেখানে যেন কোনো অপমানজনক অবস্থায় পড়তে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাটা করে দিয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা বিদেশে যেতে চান, তারা প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যেতে পারেন। তাদের কাউকে জমি-জমা বন্ধক রাখতে হবে না। করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে আমরা যেমন প্রণোদনা দিচ্ছি সমস্ত জায়গায় এই বিশেষ ব্যাংকের জন্যও ৫০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।

‘২০০ কোটি টাকা এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে। এর বাহিরে এই ৫০০ কোটিসহ মোট ৭০০ কোটি টাকার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি যাতে করে প্রবাসীরা কোনো রকম সমস্যায় না পড়ে।’

এ বিভাগের আরো খবর