বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবরার হত্যার সাক্ষ্য শেষের পথে

  •    
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২১ ২৩:৪১

আগামী ১১ জানুয়ারি এই মামলার দুজন তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেয়া শেষ হবে। এরপর যুক্তিতর্কের জন্য তারিখ রাখা হবে।

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শেরেবাংলা আবাসিক হলের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বি হত্যা মামলার ৩৩তম সাক্ষীকে আবার আদালতে হাজির করে জেরা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামনের আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সিআইডি ফরেনসিক বিভাগের উপপরিদর্শক রাকিবুল হাসানকে এই জেরা করেন।

বেলা ১২টা ১০ মিনিটে আদালতের পরিচালনার কাজ শুরু হয়। সাক্ষী রাকিবুল হাসান শপথবাক্য পাঠ করে জেরার জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল ও আবু আব্দুল্লাহ ভূঁঞা সাক্ষী রাকিবুল হাসানকে সহায়তা করেন।

এ ছাড়া অন্য আসামিদের পক্ষে জেরা করেন আইনজীবী মাহবুব আহমেদ, রেজাউল করিম সরকার ও ফারুক আহমেদসহ আরও অনেকে।

দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জেরা শেষ হলে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মৌখিক আবেদনের ফলে মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য ৬ জানুয়ারি হওয়ার কথা থাকলেও তা হবে না বলে আদালত মত দেয়।

আগামী ১১ জানুয়ারি এই মামলার দুজন তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য হওয়ার কথা রয়েছে।এই দুই তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেয়া হলে মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেয়া শেষ হবে। এর পর যুক্তিতর্কের জন্য তারিখ রাখা হবে। খুব কম সময়ের মধ্যে আলোচিত এ মামলার রায় দেয়া হতে পারে বলে নিউজবাংলাকে জানান ট্রাইব্যুনালের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল ।

গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয়। ৫ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকতউল্লাহর জবানবন্দি নেয়ার মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য শুরু হয়।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের আবরার ফাহাদ। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকতউল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারবহির্ভূত ছয় জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয় জনের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আট জন।

গ্রেফতার ২২ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

মামলার তিন আসামি এখনও পলাতক। তারা হলেন মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত। শেষের জনের নাম অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এই মামলায় এখন শুধু প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার তৎকালীন পরিদর্শক কবির হোসেন হাওলাদার এবং অভিযোগপত্র দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির লালবাগ জোনাল টিমের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

এ ছাড়া আরও দুজন সাক্ষীকে পুনরায় ডাকা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঁঞা। তিনি বলেন, দুজন তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে।

এ বিভাগের আরো খবর