বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দুটি স্কুল থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত।
চেম্বার আদালতের বিচারক বিচারপতি নূরুজ্জামান মঙ্গলবার আট সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করেন।
এর ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশটি আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে নাম বাদ দিতে আপাতত বাধা নেই।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুষার কান্তি আরও বলেন, ‘নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। সারা দেশে ৪৮০টি স্কুলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।’
গাবতলীর স্কুল দুটি থেকে জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দেয়া নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গত ২৮ ডিসেম্বর স্থগিত করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্কুল দুটিতে জিয়াউর রহমানের নাম পুনঃস্থাপনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার ওই আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার আদালত এ আদেশ দেয়।
স্কুল দুটির একটির নাম ছিল শহীদ জিয়াউর রহমান গালর্স হাইস্কুল; যার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে সুখানপুকুর বন্দর গালর্স হাইস্কুল।
অপর স্কুলটির নাম ছিল গাবতলী শহীদ জিয়া হাইস্কুল; যার নাম দেয়া হয়েছে গাবতলী পূর্বপাড়া হাইস্কুল।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন আকতার রসুল মুরাদ, নুসরাত ইয়াসমিন ও আব্দুল্লাহিল মারুফ ফাহিম।
গত ১৯ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুল হাসান স্কুল দুটির নাম পরিবর্তন করতে আদেশ দেন। পরে আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।
আবেদন পক্ষের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল সেদিন নিউজবাংলাকে বলেছিলেন ‘২০০০ সালে প্রথম স্কুলটি শহীদ জিয়া হাইস্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল এই নামটি পরিবর্তন করা হয় কোনো কারণ উল্লেখ ছাড়াই। ১৯৯৬ সালে গাবতলী শহীদ জিয়া হাইস্কুল নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু সেটিও চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পরিবর্তন করা হয়। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।’