সিলেট অঞ্চলে ৩০ ধরণের করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের এক দল গবেষক।তাদের দাবি, সিলেটে সন্ধান পাওয়া ৩০ ধরণের করোনাভাইরাসের মধ্যে ৬টি বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যায়নি। তবে বাকি ২৪ ধরনের ভাইরাসের অস্তিত্ব অন্যান্য দেশেও রয়েছে।মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন গবেষকরা।সংবাদ সম্মেলনে করোনাভাইরাস গবেষক দলের সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এম নূরনবী আজাদ জুয়েল বলেন, আমরা সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে তাদের জিনোম সিকোয়েন্স করি। সেখান থেকে আমরা করোনার জিনোমে নতুন একটা মিউটেশন পাই যা আগে বিশ্বের কোথাও পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে করোনার ১০টি নমুনার জিন বিশ্লেষণ করে প্রোটিন লেবেলে ৪৭ টি পরিবর্তন পাওয়া যায়। এর মধ্য ৩০টি পরিবর্তিত করোনাভাইরাস বাংলাদেশে একেবারে নতুন।তিনি বলেন, মূলত বাংলাদেশে করোনার গতিপ্রকৃতি ও বৈচিত্র্য উদঘাটনের লক্ষ্যে শাবিপ্রবির জিইবি বিভাগ এ মিউট্যান্টগুলো নিয়ে কাজ করছে। ফলে আমাদের দেশে কোন ভ্যাক্সিন কার্যকর হবে সেটার একটি ডিজাইন আগে থেকেই আমরা এ গবেষণাগুলোর মাধ্যমে বুঝতে পারব।সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক জি এম নূরনবী আজাদ জুয়েল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. এস এম আবু সায়েম, জিইবি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান, পিএইচডি রিসার্চ ফেলো নাজমুল হাসানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে আমরা করোনা শনাক্ত ল্যাব চালু করি। আমরা করোনা ভাইরাসের প্রকৃতি ও বিস্তার নিয়ে গবেষণাও করছি যা শাবিপ্রবির এক অনন্য অর্জন। তাই আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’