ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতা করার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়েছে।
মঙ্গলবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমার কথা থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা তা জমা দিতে ব্যর্থ হন।
মুুুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম ইয়াসমিন আরা ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী লালবাগ থানায় নুরসহ ছয় জনকে আসামি করে মামলাটি করেন ।
এ মামলার প্রধান আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুন। নুর এ সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক।
বাকি চার আসামি হলেন নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকী।
আসামিরা সবাই ঢাবির শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন । এদের মধ্যে হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা হয়।
সোহাগ, সাইফুল ও নাজমুল কারাগারে রয়েছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতয়ালি থানায় এই মামলা করেন বাদী। দুই দিন আগে লালবাগ থানায় মামলার ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়।
প্রথম মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেন।
নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মীমাংসার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি। পরে চুপ হয়ে যেতে বলেন। কথা না শুনলে অনলাইনে অপপ্রচার চালানোর হুমকি দেন।
পরে লালবাগ থানায় করা মামলায় তাকে সহযোগিতার কথা বলে চাঁদপুর নিয়ে যান সোহাগ। ফেরার পথে ধর্ষণ করা হয়। এর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অনলাইনে অপপ্রচারের অভিযোগও আনা হয়।