সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া পিকে হালদারকে সহায়তাকারী ২৫ জনের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে এ নির্দেশ দেন।
তারা জানান, প্রয়োজনে দুদক এই ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে জানান, ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীরা পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদারসহ ২৫ জনের বিষয়ে আবেদন করেন।
যে ২৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তারা হলেন এস কে শুর (বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর), হারুনুর রশিদ (ফার্স্ট ফাইন্যান্স), উজ্জ্বল কুমার নন্দী, সামি হুদা, অমিতাভ অধিকারী, অবন্তিকা বড়াল, শামীমা (ইন্টারন্যাশনাল লিজিং), রুনাই (ইন্টারন্যাশনাল লিজিং), আই খান (ইন্টারন্যাশনাল লিজিং), সুকুমার মৃধা (ইনকাম ট্যাক্স আইনজীবী), অনিন্দিতা মৃধা, তপন দে, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অভিজিৎ চৌধুরী, রাজিব সোম, ইরফান উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি), অঙ্গন মোহন রায়, নঙ্গ চৌ মং, নিজামুল আহসান, মানিক লাল সমাদ্দার, সোহেল সামস এবং পিকে হালদারকে বিভিন্নভাবে তথ্য দিয়ে সহযোগিতাকারী মাহবুব মুসা, একিও সিদ্দিকী, মোয়াজ্জেম হোসেন ও লিলাবতী হালদার।
এর আগে সামিয়া বিনতে মাহবুব নামের এক বিনিয়োগকারী নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে টাকা ফেরত চাই। এ জন্য যা যা করা দরকার তাই করব। পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার ও অবন্তিকা বড়ালসহ সকলকে আটক করলেই পিকে হালদারকে ফেরানো সম্ভব হবে। এ জন্য আমরা আদালতের কাছে আবেদন জানাব।’
পিকে হালদারের প্রতারণার শিকার দাবি করা সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের মেয়ে ড. নাশিদ কামালসহ কয়েক জন। ছবি: নিউজবাংলা
পিকে হালদারের প্রতারণার শিকার হওয়ার দাবি করে ভুক্তভোগী পাঁচ জন বিনিয়োগকারী এ মামলার রুল শুনানিতে পক্ষভুক্ত হতে গত ৩ জানুয়ারি আবেদন করেন। আবেদনকারীরা হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের মেয়ে নাশিদ কামাল, সাবেক রাষ্ট্রদূত রাজিউল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকতুর রহমান, সামিয়া বিনতে মাহবুব, খালেদ মনসুর ট্রাস্টের পক্ষে তরিকুল ইসলাম।
ওই দিন তারা আদালতের কাছে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।