বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি পর্যায়ে ১০ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এসব প্রতিষ্ঠান এক লাখ ৫ হাজার টন চাল আমদানি করতে পারবে। তবে এর জন্য কিছু শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে।
রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হুরে জান্নাত স্বাক্ষরিত আদেশে চাল আমদানির এ অনুমতি দেয়া হয়।
কোন প্রতিষ্ঠান কী পরিমাণ চাল আমদানি করতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
চাল আমদানিতে অনুমতি পাওয়া ১০ প্রতিষ্ঠান হলো জয়পুরহাটের মেসার্স হেনা এন্টারপ্রাইজ (১০ হাজার টন), দিনাজপুরের মেসার্স রেনু কনস্ট্রাকশন (১৫ হাজার টন), বগুড়ার আলাল এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস (১০ হাজার টন), নওগাঁর দীপ্ত এন্টারপ্রাইজ (১০ হাজার টন), আকাশ এন্টারপ্রাইজ (১০ হাজার টন), ঘোষ অটোমেটিক রাইস মিল (১৫ হাজার টন), বগুড়ার মেসার্স আলাল এন্টারপ্রাইজ (৫ হাজার টন), খুলনার কাজী সোবহান ট্রেডিং করপোরেশন (১০ হাজার টন), নওগাঁর মেসার্স নুরুল ইসলাম (১০ হাজার টন) ও নওগাঁর মেসার্স জগদীশ চন্দ্র রায় (১০ হাজার টন)।
চাল আমদানির জন্য তিনটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে এলসি খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে, পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পাওয়া ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে, ১০ থেকে ১৫ হাজার টন বরাদ্দ পাওয়া ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে।
এরই মধ্যে ভোক্তাদের সুবিধা বিবেচনায় চালের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। আগে ৬২ শতাংশ থাকলেও এখন তা কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।