ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ১৪৪ ধারায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের সময় অনুসরণীয় ছয় দফার একটি সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার এ আবেদন করা হয়েছে।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ছয় দফা সুপারিশসহ ৪৭ পৃষ্ঠার একটি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১৩ জানুয়ারি দিন রেখেছেন।
ছয় সুপারিশ হলো-
এক. স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিত থাকার সুযোগ দেয়া।
দুই. স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পূর্বে আসামিকে তার আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার সুযোগ দেয়া।
তিন. স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার সময় অডিও-ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা।
চার. একাধিক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি একসঙ্গে লিপিবদ্ধ না করা।
পাচঁ. সন্দেহ দূরীকরণে আসামি স্বীকারোক্তি টাইপ না করে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক স্বহস্তে লেখা উচিত।
ছয়. ম্যাজিস্ট্রেট যেন আইনগত সমস্ত পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য যৌক্তিক সময় পান, সে ব্যাপারে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ছয় দফা সুপারিশ আদালতকে তুলে ধরা নিয়ে শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, লিখিত বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জের ‘নিহত কিশোরীর জীবিত’ ফেরার ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে।
পাশাপাশি ফরিদপুরের এক মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক এক দিনে তিন ঘণ্টার মধ্যে পরপর তিন আসামির স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধকরণ; চট্রগ্রামের এক মামলায় দুই আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদনে এক জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানোর ঘটনাও উল্লেখ করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে ইসলাম ধর্ম, হিন্দু ধর্ম ও চৈনিক কফুসিয়াস মতবাদ অনুযায়ী স্বীকারোক্তির ধারণা উল্লেখ করা হয়েছে। স্বীকারোক্তি সংক্রান্ত ইউরোপ, আমেরিকা ও ভারতের ১৪টি মামলা, আইনি ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।