নারায়ণগঞ্জে জীবিত কিশোরীকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে মিথ্যা মামলায় তিন আসামিকে মারধর ও ভয় দেখিয়ে পুলিশ জবানবন্দি আদায় করেছিল বলে বিচার বিভাগীয় তদন্তে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেয়া হয়েছে। দুপুর ১২টায় এর ওপর শুনানি হবে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুল ছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করেন হাইকোর্টের পাঁচ আইনজীবী।
এর প্রেক্ষিতে ২৪ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য গত নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রটের নেতৃত্বে করা এই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী শিশির মনির।
গত ৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকার নিজেদের বাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছিল ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী।
এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় জিডি ও মামলা করে কিশোরীর পরিবার। ওই মামলাতে আব্দুল্লাহ, রকিব ও নৌকার মাঝি খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ হেফাজত শেষে ৯ আগস্ট তাদের আদালতে হাজির করা হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করে আসামিরা জানিয়েছিলেন, অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন তারা।
সবকিছু পাল্টে পায় ঘটনার ৫১ দিন পর. ২৩ আগস্ট। ওই কিশোরী জীবিত আছে বলে জানায় তার পরিবার। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় তাকে।
পরে ওই কিশোরী আদালতে জানায়, এক যুবককে বিয়ে করে নারায়ণগঞ্জেরই বন্দর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকছিলেন তিনি।