বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রংপুরে বই পায়নি তিন শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:০২

বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে প্রতি বছর অক্টোবরে বই পায় সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো। করোনার কারণে এবার তা সম্ভব হয়নি। বই আসছে পর্যায়ক্রমে।

নতুন বছরের পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও ষষ্ঠ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এখন পর্যন্ত একটি বইও বিতরণ করতে পারেনি রংপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। সপ্তম শ্রেণির ১৩টি বইয়ের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে মাত্র সাতটি।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ জানুয়ারিতে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছানোর কথা। তবে সঠিক সময়ে বই হাতে না পাওয়ায় বিতরণ সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন রংপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রোখসানা বেগম।

তিনি নিউজবাংলাকে জানান, মাধ্যমিক পর্যায়ে রংপুরের আট উপজেলায় বই প্রয়োজন ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৪টি। এর মধ্যে তারা পেয়েছেন ১৩ লাখ ১৬ হাজার ৮৪৮টি। মাদ্রাসায় দাখিল পর্যায়ে আট লাখ চার হাজার ৯৫৬টি বইয়ের মধ্যে পেয়েছেন দুই লাখ ১৩ হাজার ৯২০টি।

এ ছাড়া এসএসসি ভোকেশনাল পর্যায়ে ৯৬ হাজার ৬১৯টি বইয়ের মধ্যে ১৪ হাজার ৮৬৪টি, দাখিল ভোকেশনাল পর্যায়ে চার হাজার ২৪৫টির মধ্যে মাত্র ৫৭০টি বই পেয়েছেন।

কারিগরি ট্রেডে ৩৬ হাজার ৩৬৫টি বই প্রয়োজন হলেও ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি বইও পাওয়া যায়নি।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা যায়, বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে প্রতি বছর অক্টোবরে বই পায় সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো। করোনার কারণে এবার তা সম্ভব হয়নি। বই আসছে পর্যায়ক্রমে।

শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ১৫ দিন ধরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়গুলোতে বই বিতরণ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে সব বই আসার সম্ভাবনা দেখছেন তারা।

রফিক উজ জামান নামের এক অভিভাবক নিউজবাংলাকে জানান, তার ছেলে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। সেখান থেকে সাতটি বই দেয়া হয়েছে। বাকি বই জানুয়ারি মাসেই দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

রংপুরের লালকুটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণির বেশ কয়েকটি বই পেয়েছি; তা বিতরণ করেছি। আমরা শুনেছি দ্রুত সব বই দেয়া হবে।’

রবার্টসনগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সব বই পাইনি। শুনেছি বই আসছে। বই পেলে বিতরণ করা হবে।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রোখসানা বেগমের দাবি, এনসিটিবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা দ্রুত বই পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। বই আসলেই বিতরণ করা হবে।

তিনি বলেন, ষষ্ঠ, অষ্টম ও নবম শ্রেণির দুই-চারটা করে বই আসছে। সব বই এলেই বিতরণ শুরু হবে।

রোখসানা বেগম জানান, মাধ্যমিক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত বই পেয়েছেন ৩৭ দশমিক ২৩ ভাগ। দাখিল পর্যায়ে ২৭ ভাগ, এসএসসি ভোকেশনালে ১৫ ভাগ ও দাখিল ভোকেশনালে ১৩ ভাগ বই পেয়েছেন। কারিগরি ট্রেড এখন পর্যন্ত একটি বইও পায়নি।

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ নিউজবাংলাকে বলেন, করোনায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে না পারলেও বাড়িতে নতুন বই নিয়ে ছুটাছুটি করত। পড়ার টেবিলে বসত। সেটা থেকে তারা বঞ্চিত হলো। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এ বিভাগের আরো খবর