করোনা টিকা পাওয়ার নিশ্চয়তার সুযোগ নিতে গিয়ে বাংলাদেশের কোনো মানুষকে ‘গিনিপিগ’ বানাতে চায় না সরকার।
যদি কোনো টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচওর যথাযথ অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশে উৎপাদন করতে চায়, সেই অনুমতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন ট্রায়ালের কোনো অনুমোদন কোনো প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে না।’
বাংলাদেশে করোনার টিকার পরীক্ষা চালাতে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। তারা বাংলাদেশকে এক কোটি টিকা বিনা মূল্যে দেয়ার প্রস্তাবও করেছিল। তবে বাংলাদেশ রাজি হয়নি।
স্বাস্থ্য সচিব জানান, ডব্লিউএইচও-এর অনুমোদন ছাড়া কোনো টিকা মানব শরীরে প্রয়োগ না করতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে। এমনকি, টিকা ক্রয়েও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছাড়া কাউকে গ্রহণ করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘ডব্লিউএইচও যদি কাউকে রিকগনাইজড করে যে আমি একা না, আমি এই সাতজনকে ক্ষমতা দিলাম, তারা (অনুমোদন) দেয়া মানে আমরা দেয়া-একই কথা। যদি দেয়, সেটা হোক।’
তখন অনুমোদন পাওয়া যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করবে সরকার।
‘কিন্তু আমরা ডব্লিউএইচও এর অথারাইজড, অথেনটিকেটেড কোনো একটি সংস্থার অ্যাপ্রুভাল ছাড়া আমরা আমাদের কোনো একটি মানুষের বডিতে আমরা এটা (করোনা টিকা) প্রয়োগ করতে যাব না’- বললেন সচিব।
অনুমোদনের জন্য দেরি করতেও রাজি আছে সরকার। কিন্তু কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয় তারা।
‘আমাদের যদি ১০ দিন দেরি হয়, হবে। তবুও আমরা সমস্ত ফর্মালিটিজগুলো মেনে একেবারে ভালোভাবে কাজটা করতে চাই। আমরা অপেক্ষায় আছি।
‘এটা নিয়ে পরবর্তী সময় যাতে আমাদের কোনো রিয়েকশ্যান না হয় সেটি নিশ্চিত করতে চাই।’
সরকারের এই অবস্থানের কারণে সিরামের তৈরি অক্সফোর্ডের টিকা পেতে দেরি হবে কি না প্রশ্ন ছিল সচিবের কাছে। তিনি জানালেন এমন শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
তিনি জানালেন, সিরামের টিকাকে ভারত সরকার অনুমোদন দিয়েছে। এই অনুমোদন ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা যায় না।
‘ডাব্লিউএইচও-এর অনুমোদনের জন্য তিন সপ্তাহ সময় নিয়েছে ভারতের সিরাম। তিন সপ্তাহ হলেও তো ফেব্রুয়ারি আসে না। অনুমোদন পেলে আমাদের কাছে আসবে।’
ফলে যথা সময়ে টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান।