বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উদ্বোধনের অপেক্ষায় রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর জাহাজ পরিদর্শী

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৫৪

ভিভিআইপিদের কাজের সুবিধার্থে ১৮ আসনের মিটিং রুম এবং ৫০ আসনের একটি কনফারেন্স রুম রয়েছে এতে। নিরাপত্তার জন্য সংযুক্ত রয়েছে একটি হাইস্পিড বোট। অত্যাধুনিক রান্নাঘরের পাশাপাশি অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে সুবিশাল ডাইনিং রুম। কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জাহাজটিতে রয়েছে ২৪টি কক্ষ। এর মধ্যে দুটি প্রেসিডেন্ট স্যুট।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ দেশি-বিদেশি অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) জন্য বিলাসবহুল ও অত্যাধুনিক জাহাজ ২০ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি জাহাজটি উদ্বোধন করবেন। বিআইডাব্লিউটির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আইয়ুব আলী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের এফএমসি ডকইয়ার্ডে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) পরিদর্শী নামের এই জাহাজ নির্মাণ করছে। জাহাজটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। শিগগির জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে নৌযানটি বিআইডাব্লিউটির নারায়ণগঞ্জের টার্মিনালে নেয়া হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি উদ্বোধন করবেন।

চট্টগ্রামের এফএমসি শিপইয়ার্ডের উপমহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মাহমুদুল হাসান জানান, ৪৯ দশমিক ৬১ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজটির প্রস্থ ১২ মিটার। গভীরতা ৩ দশমিক ৫ মিটার। নদীপথে চলাচলের পাশাপাশি সাগরে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বেও চলাচল করতে সক্ষম এটি। জাহাজ নির্মাণকাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। জানুয়ারি মাঝামাঝি সময়ে জাহাজটি বিআইডাব্লিউটিএর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ভিভিআইপিদের কাজের সুবিধার্থে ১৮ আসনের মিটিং রুম এবং ৫০ আসনের একটি কনফারেন্স রুম রয়েছে এতে। নিরাপত্তার জন্য সংযুক্ত রয়েছে একটি হাইস্পিড বোট। জাহাজটির নির্মাণকাজ তদারক করেছে যুক্তরাজ্যের শিপ সার্ভে প্রতিষ্ঠান (ক্লাস) এলআর।

বিআইডাব্লিউটির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আইয়ুব আলী বলেন, অনেক অনুষ্ঠানে দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ দেশি-বিদেশি অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) নৌভ্রমণ করতে হয়। কিন্তু দেশে তাদের জন্য বিলাসবহুল ও অত্যাধুনিক কোনো নৌযান ছিল না। তাই এই নৌযানটি তৈরি করা হচ্ছে।

অত্যাধুনিক রান্নাঘরের পাশাপাশি অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে সুবিশাল ডাইনিং রুম। কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জাহাজটিতে রয়েছে ২৪টি কক্ষ। এর মধ্যে দুটি প্রেসিডেন্ট স্যুট। সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরা ও ইন্টারনেটের জন্য ওয়াই-ফাই ব্যবস্থাও রয়েছে পুরো জাহাজে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। মাত্র দুই বছরেই জাহাজটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। নৌযানটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। জাহাজটি হাইটেক ও মাল্টিপারপাস ভ্যাসেল। জানুয়ারিতে জাহাজটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

ভিভিআইপিদের পরিবহনের পাশাপাশি প্রয়োজনে সার্ভে জাহাজ হিসেবেও এটিকে ব্যবহার করা যাবে। জাহাজ নির্মাণ শিল্পের ইতিহাসে এটিই প্রথম হাইটেক ক্যাটামারান টাইপ সবচেয়ে বড় জাহাজ। যাত্রী পরিবহনের জন্য ক্যাটামারান টাইপ আরও কয়েকটি জাহাজ দেশে থাকলেও এমন অত্যাধুনিক এবং বড় আকারের জাহাজ দ্বিতীয়টি নেই। এই জাহাজে বসে নদী কিংবা সাগরের তলদেশ ৫০০ মিটার পর্যবেক্ষণ করা যাবে সহজেই। এ ছাড়া ভিভিআইপিদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য এসএসবি (সিঙ্গেল সাইড ব্যান্ড রেডিও) থাকছে। নদী ও সাগরের স্রোত মাপার জন্য রয়েছে কারেন্ট মিটার।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদণ্ডীতে ৮০ বিঘা জমির ওপর এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের বিশাল অবস্থান। ১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ডকইয়ার্ডের প্রাথমিক নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১০ সালে। ইয়ার্ডের অবকাঠামো তৈরি থেকে শুরু করে নিজস্ব ব্যবহারের জন্য বার্জ, ওয়ার্ক বোট, যাত্রীবাহী জাহাজ নির্মাণ করে এফএমসির নেভাল আর্কিট্যাক্ট ও ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষিত নিজস্ব কর্মী বাহিনী।

এ বিভাগের আরো খবর