রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারের সামনে কিশোর আরিফ হত্যা মামলার আসামি মো. টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোপন সংবাদে সোমবার মধ্য রাতে র্যাবের একটি দল মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রথম গেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ নিয়ে মামলার চার আসামির মধ্যে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
র্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন টিপু।
বন্ধুর ভাইয়ের মার খাওয়ার বদলা নিতে গিয়ে গত শুক্রবার ছুরিকাঘাতে নিহত হয় আরিফ।
- আরও পড়ুন: বন্ধুর ভাইকে মারের বদলা নিতে গিয়ে খুন
পুলিশ জানিয়েছিল, ওই রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহাখালী কাঁচাবাজারের সামনে জনির সঙ্গে হাসান ও সোহাগদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জনিসহ তার সহযোগীরা হাসান ও সোহাগকে ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ সময় সোহেল নামে একজন সাততলা বস্তির রবিনকে ফোন করেন।
তিনি বলেন, হাসানকে জনি ও তার সহযোগীরা মহাখালী কাঁচাবাজারের সামনে মারধর করছে-এ খবর পেয়ে রবিন তার বন্ধু আরিফসহ দলবল নিয়ে যান মহাখালী কাঁচাবাজারের সামনে। তারা জনি ও তার সহযোগীদের মারধর শুরু করেন। এর এক পর্যায়ে জনি ছুরি দিয়ে আরিফের বুকে দুই বার আঘাত করে পালিয়ে যান।
গুরুতর আহত আরিফকে প্রথমে মহাখালীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে নেয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ছুরিকাঘাতে নিহত আরিফ। ছবি: সংগৃহীত
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর আরিফের বাবা কবির হোসেন শুক্রবার রাতেই মো. জনিকে প্রধান আসামি এবং টিপু, নুরু ও জোনাকীকে সহযোগী হিসেবে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-১ ছায়া তদন্ত শুরু করে। বাড়ানো হয় গোয়েন্দা নজরদারি। শুক্রবার রাতেই প্রধান আসামি জনি ও সহযোগী জোনাকীকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ধরা না পড়া আসামি নুরুকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।