রাজধানীর কচুক্ষতের পুলপাড় এলাকায় খালের জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
উচ্ছেদের প্রথম দিন সোমবার তিন তলা একটি ভবনের আংশিক ভাঙা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে পুলপাড় এলাকার ইব্রাহিমপুর খাল থেকে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম অভিযান শুরু হয়। এ সময় যারা খালের জায়গায় বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছেন, তাদের স্বেচ্ছায় সেসব সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
খালের জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
ওয়সার কাছ থেকে ঢাকা মহানগরের খালগুলো বুঝে নেয়ার পর এ কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি।
অভিযানের শুরুতেই মেয়রের নির্দেশে পুলপাড়ের একটি তিন তলা ভবনের একাংশ ভাঙা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে গোটা ভবনটিই ভেঙে ফেলা হবে।
এরপর মেয়র আতিক ঢাকার জেলা প্রশাসক ও করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে পুলপাড় থেকে হাবিবুল্লা রোড পর্যন্ত খালের কিনারার বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
এ সময় মেয়রের সঙ্গে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদ কার্যক্রম নিয়ে মেয়র আতিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সবাইকে ক্লিয়ার মেসেজ দিতে চাই, খালের পাশে সিএস (মহানগর জরিপ) দাগ দেখে যে ম্যাপিং হবে, তার ভেতরে যত ক্ষমতাবান, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী থাকুক না কেন, কাউকেই কোনো ধরনের দয়া-দাক্ষিণ্য দেখানো হবে না। এ উচ্ছেদ অভিযান আমরা চালু করেছি এবং এটা অব্যাহত থাকবে।
নিজেদের মালামাল নিয়ে জায়গা ছাড়ছেন দোকানিরা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
‘এ শহরের পানি প্রবাহের জন্য খাল। খাল যদি ক্লিয়ার করতে না পারি, তাহলে ড্রেন করে কোনো লাভ হবে না। সুতরাং খাল আমরা উদ্ধার করব, খালের পাশে আমরা ওয়াকওয়ে (ফুটপাথ) করব। যদি জায়গা থাকে গাছ লাগাব। সম্ভব হলে সাইকেল লেন বানাব।’
দুপুর ১টা পর্যন্ত মেয়রের উপস্থিতিতে দুটি এক্সক্যাভেটর দিয়ে পুলপাড়ের তিন তলা ভবনের একাংশসহ খালের জায়গায় গড়ে ওঠা একটি বস্তির অন্তত ২০টি ঘর, কয়েকটি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হয়।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইব্রাহিমপুর খালের দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার; প্রস্থ ৬০ ফুট। কিন্তু পুলপাড়ের অংশে এর প্রস্থ সংকুচিত হয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে।