সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি বাসচালক মো. শহিদ মিয়াকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সুনামগঞ্জ আদালত পরিদর্শক সেলিম নেওয়াজ সোমবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রাগীব নূরের কাছে শহিদকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করলে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় জড়িত আরেক আসামি হেলপার বক্কর এখনও পলাতক। তাকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।’
শনিবার ভোরে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ঘটনার সাত দিন পর বাসচালক শহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে ওই কলেজছাত্রীকে সিলেট থেকে ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের ওই বাসে তুলে দেন তার দুলাভাই। সুনামগঞ্জের ১৬ কিলোমিটার আগে একটি বাইপাস হয়ে দিরাইয়ে মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে সুনামগঞ্জে যাওয়ার কথা ছিল বাসটির। কিন্তু যাত্রীরা সব নেমে যাওয়ার পর বাসচালক শহিদ দায়িত্ব কনডাক্টর বক্করকে দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সঙ্গে ছিলেন হেলপার রশিদ আহমদ।
ওই ছাত্রী আত্মরক্ষার জন্য চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন। গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনার পরের দিন অজ্ঞাতপরিচয় তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির বাবা। ২৮ ডিসেম্বর ভোরে সুনামগঞ্জ জেলার গোবিন্দগঞ্জ বাজারের বুঙ্গাইরগাঁও থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে হেলপার রশিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অফ0 ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণচেষ্টার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানান পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ উজ জামান।
২৯ ডিসেম্বর দুপুরে আদালতে ঘটনায় নিজের সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করেন হেলপার রশিদ। পরে আদালত রশিদকে কারাগারে পাঠায়।