স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বহুমাত্রিক লেখক, কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চের সামনে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হয়।
বাংলা একাডেমি প্রথমে রাবেয়া খাতুনকে শ্রদ্ধা জানায়। পরে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, তথ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন তাকে শ্রদ্ধা জানায়।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘রাবেয়া খাতুন শুধু লেখালেখিতে সীমাবদ্ধ থাকেননি। বিভিন্ন সভা-সমিতিতে অংশ নিয়েছেন...আমাদের আনন্দের অংশ, ভালোবাসার অংশ, মঙ্গলের অংশ সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তার সাহিত্যের প্রতি নিষ্ঠাবান হব। তার সাহিত্যের মাধ্যমে তাকে নতুনভাবে জানতে আমার তরুণ বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানাব।’
বাংলা একাডেমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাবেয়া খাতুনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ আসর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বার্ধক্যজনিত কারণে রোববার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকার বনানীর নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রাবেয়া খাতুন (৮৬)।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানান।
অর্ধশতাধিক উপন্যাসের রচয়িতা রাবেয়া খাতুন শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি বাংলা একাডেমির পর্ষদ সদস্য ছিলেন। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৩ সালে একুশে পদক এবং ২০১৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পান তিনি।
রাবেয়া খাতুনের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর তৎকালীন ঢাকার বিক্রমপুরে মামার বাড়িতে। তার পৈত্রিক বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামে।