বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সড়কে গ্রীষ্মের দেড়গুণ মৃত্যু শীতে

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:১১

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দিনে গড়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয় সড়ক দুর্ঘটনায়। মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মারা যায় ১১ জন করে।

দেশে গ্রীষ্ম এমনকি বর্ষার চেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেশি শীতে।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংগঠনের প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে।

২০২০ সালের সড়ক দুর্ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই চার মাসে এক হাজার ৫৪৬টি দুর্ঘটনায় এক হাজার ৮১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি মাসে ৪৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ দিনে ১৫ জন।

বাকি আট মাসে দুই হাজার ৯৪টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৬৪০ জনের। অর্থাৎ এই আট মাসে গড়ে প্রতি মাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৩০ জনের, দিনে ১১ জন করে।

প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা। এর নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শীতে দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে কুয়াশার কারণে মানুষ রাস্তা ঠিকমত দেখে চলতে পারে না। ঠান্ডার কারণে মানুষ অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আবার এই সময়ে মানুষ বেশি ঘুরতে যায়।’

রোববার প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদায়ী ডিসেম্বর মাসে ৪০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৪৬৪ জন। আহত হয়েছে ৫১৩ জন।

নভেম্বরে ৪১৭টি দুর্ঘটনায় ৪৩৯ জনের মৃত্যু হয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪৪৫ জনের। আর ফেব্রুয়ারিতে ৩৮৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ৪৬৩ জন।

শীতকালের বাইরে কেবল মার্চে চার শতাধিক মানুষের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। ওই মাসে মারা যায় ৪২৭ জন।

এরপর এপ্রিলে ১৩৮, মে মাসে ২৯২, জুনে ৩৬১, জুলাইয়ে ৩৫৬, আগস্টে ৩৭৯, সেপ্টেম্বরে ৩০৪ এবং অক্টোবরে ৩৮৩ জনের মৃ্ত্য হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়।

গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৪৫১ জনের।

রোববারে এক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয় জন নিহত হয়েছেন। ছবি: নিউজবাংলা

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, তারা মৃত্যুর সংখ্যা গুনেছেন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা লিখি। কিন্তু এই আহত মানুষের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। যার কোন নিউজ হয় না, আর আমরা পাইও না।’

বিজ্ঞপতিতে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবাদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি, গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে বিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ করে বলা হয়েছে, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়ানো, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের ওপর ট্রাফিক বাধাহীন প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে তাদের জন্য আলাদা রাস্তা তৈরি, পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ, রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমানো।

এ বিভাগের আরো খবর