গেল বছরে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে মাদক ও চোরাচালান জব্দের পরিমাণ বেড়েছে। এই সময়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে জব্দ হয়েছে এক কোটির বেশি ইয়াবা বড়ি।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি। এতে বলা হয়েছে, জব্দ হওয়া মাদক ও চোরাচালানের পরিমাণ বাড়লেও দামের হিসাবে কমেছে।
দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীটি বলছে, ২০২০ সালে ৭৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে তারা। ২০১৯ সালে জব্দ করা হয়েছিল ৮০২ কোটি ৯৭ লাখ ৯১ টাকার মাদকদ্রব্য।
গত এক বছরে জব্দকৃত মাদকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইয়াবা। এই সময়ে ১ কোটি ৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪৯ ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়। ২০১৯ সালে আটক করা হয়েছিল ৯২ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৭ ইয়াবা বড়ি।
২০২০ সালে জব্দ করা মাদক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬৯ বোতল ফেনসিডিল, ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ বোতল বিদেশি মদ, ৬ হাজার ৩৩৯ লিটার বাংলা মদ, ১০ হাজার ৪১৬ ক্যান বিয়ার, ১৩ হাজার ৮৫৭ কেজি গাঁজা, ২২ কেজি ১৭ গ্রাম হিরোইন, ৪৬ হাজার ৬২১টি উত্তেজক ইনজেকশন, ৬৪ হাজার ১৬৯টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৯টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সম্প্রতি টেকনাফে পরিত্যক্ত অবস্থায় এক লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে বিজিবি। ফাইল ছবি
আগের ফেনসিডিল আটক করা হয় ৪ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৮ বোতল। এ ছাড়া ৮৫ হাজার ৩৭১ বোতল বিদেশি মদ, ৩ হাজার ৮৭৮ লিটার বাংলা মদ, ৪ হাজার ৭৩০ ক্যান বিয়ার, ৭ হাজার ৭৮৯ কেজি গাঁজা, ১৪ কেজি ৮৪৯ গ্রাম হিরোইন, ৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৮৮ পিস এনেগ্রা ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৬ হাজার ১৫৫টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং অন্যান্য ট্যাবলেট ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫৮৬ পিস উদ্ধার করা হয়েছিল।
এক বছরে স্বর্ণ আটক ৮৭ কেজি
আগের বছরের তুলনায় গেল বছরে বিজিবির স্বর্ণ জব্দের পরিমাণও বেড়েছে। ২০২০ সালে জব্দ করা চোরাচালানের মধ্যে রয়েছে ৮৭ কেজি ৭৬৬ গ্রাম স্বর্ণ। রূপা ২১৬ কেজি ৭১৭ গ্রাম।
এ ছাড়া, ৩৩ হাজার ৩৬৬টি শাড়ি, ৯ হাজার ৪৪০টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ১৪ হাজার ৯৬৭টি তৈরি পোশাক, ২১ হাজার ৪৮৭ মিটার থান কাপড়, ৯ লাখ ৫০ হাজার ৫৯৫ ঘনফুট কাঠ, ৩৮ লাখ ২৯ হাজার ৪৩০ কেজি চা পাতা ও ৪১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি।
বিজিবির অভিযান জব্দ স্বর্ণের বার। ফাইল ছবি
এ ছাড়া, ২০২০ সালে জব্দ করা হয় ৩৩টি পিস্তল, একটি রিভলভার, ৯০টি বন্দুক, ১০ হাজার ৪৭৩টি সকল প্রকার গোলাবারুদ, ৩৫টি ম্যাগাজিন, দুই কেজি ২০০ গ্রাম গান পাউডার এবং ২০টি ককটেল।
বিজিবি জানিয়েছে, ২০২০ সালে বিভিন্ন অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন হাজার ৫৯৪ জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে আটকের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৮১৭ জন।