বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশু পর্নোগ্রাফি: ভারতের শিশুকে ফাঁদে ফেলে কারাগারে

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:১৩

ওই তরুণের নাম কে এম মীরাজুল আজম। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তবে বড় হয়েছেন ঢাকার সবুজবাগে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। করোনাইভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে তিনি চাকরি হারান।

ভারতের এক শিশুর ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর হুমকি দিয়ে আড়াই লাখ রুপি দাবির অপরাধে বাংলাদেশি এক যুবককে রোববার কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই তরুণের নাম কে এম মীরাজুল আজম। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তবে বড় হয়েছেন ঢাকার সবুজবাগে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। করোনাইভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে তিনি চাকরি হারান।

অভিযোগ রয়েছে, মীরাজুল অনলাইনে উঠতি বয়সী শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পর্নো ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরবরাহ করে আসছিলেন। এসব ছবি ও ভিডিও তিনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে আসছিলেন।

এডিসি নাজমুল ইসলাম জানান, গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভারতের ওই শিশুর কাছ থেকে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে অভিযোগটি আসে। অভিযোগ পাওয়ার তিন দিনের মাথায় ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর মুগদার অতীশ দীপঙ্কর সড়কের একটি বাসা থেকে মীরাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘এ সময় শিশু পর্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহার করা মীরাজুলের মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডিগুলো জব্দ করা হয়।’

সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহ বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর মীরাজুলকে রিমান্ডে নেয়া হয়। প্রায় সাত মাস আগে ভারতের ওই মেয়ে শিশুটির সঙ্গে অনলাইনে তার যোগাযোগ হয় বলে জানিয়েছেন। মীরাজুল ইংরেজি ও হিন্দিতে পারদর্শী হওয়ায় শিশুদের সঙ্গে সহজে ঘনিষ্ট হতে পারতেন। রিমান্ডে তিনি সবকিছু স্বীকার করেছেন। রোববার রিমান্ড শেষে তাকে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

গত বছরের ১৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের এক কিশোরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিশু পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত ঢাকার তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

এ বিভাগের আরো খবর