ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোয় তৈয়বুর রহমান খানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় রোববার দুপুরে। বিকালে তার সমর্থকদের সঙ্গে নৌকার সমর্থকদের এ সংঘর্ষ হয়।
শৈলকুপা ডিগ্রি কলেজ এলাকায় আধা ঘণ্টার ওই সংঘর্ষে আহত হন দুই পক্ষের অন্তত পাঁচ জন।
মেয়র পদে আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়বুর রহমান খান। ছবি: নিউজবাংলা
ঝিনাইদহের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজমের প্রচারে সমর্থকরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়বুরের নির্বাচনী কার্যালয়ের কাছে পৌঁছালে তার সমর্থকদের সঙ্গে মিছিলে থাকা কর্মী-সমর্থকদের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ছোড়া হয় ইটপাটকেল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শৈলকুপা থানা-পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল।
আরিফুল জানান, আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তৈয়বুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু জানান, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান খানকে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০১৫ সালের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তৈয়বুরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় পরে নতুন কমিটিতে আবারও তিনি দলে ভিড়েন।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও দুই প্রার্থীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।