বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পরিকল্পনা ছিল: সিআইডি

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৫০

পুলিশ জানিয়েছে, বাসের কনডাক্টরের সঙ্গে চালক ও কলেজছাত্রীর বক্তব্যের মিল পাওয়া গেছে।

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের চলন্ত বাসে চালক ও তার সহকারীরা কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

রাজধানীর মালিবাগে রোববার দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক হাসিব আজিজ।

তিনি বলেন, বাসটির চালক শহিদ মিয়াকে (২৬) সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাসটির কনডাক্টর রশীদকে গ্রেপ্তার করে।

রশীদ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তার জবানবন্দির সঙ্গে বাসচালকের প্রাথমিক তথ্য ও কলেজছাত্রীর বর্ণনার মিল রয়েছে।

গ্রেপ্তার বাসচালক শহিদ মিয়া

হাসিব আজিজ জানান, ছাত্রীকে জোর করে বাসের পেছনে নিয়ে যান চালক শহিদ। পরে মেয়েটি ব্যাগ সামনে রেখে নিজেকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে চালক ব্যাগ টেনে ছিড়ে ফেলেন। পরে মেয়েটি কৌশলে চালককে বাধা দিয়ে বাস থেকে লাফ দেন। গ্রামবাসী চলে এলে বাসটি পালিয়ে যায়।

তিনি জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে পাঠান।

সিআইডির কর্মকর্তা জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে মেয়েটিকে সিলেট থেকে ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের ওই বাসে তুলে দেন তার দুলাভাই। সুনামগঞ্জের ১৬ কিলোমিটার আগে একটি বাইপাস হয়ে দিরাইয়ে মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে সুনামগঞ্জে যাওয়ার কথা ছিল বাসটির। কিন্তু যাত্রীরা সব নেমে যাওয়ার পর বাসচালক দায়িত্ব হেল্পার বক্করকে দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে ওই দিন সুনামগঞ্জের দিরাই থানায় মামলা করেছে ওই ছাত্রীর বাবা। বাসের হেলপার বক্কর এখনও পলাতক।

কলেজছাত্রী চিকিৎসা শেষে বাড়িতে রয়েছেন। তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর