আগামী বছরের জুনের মধ্যে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দিতে চায় সরকার।
এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নিজ মন্ত্রণালয়ে রোববার সকালে সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
মেট্রোরেলের কাজ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরে। এমনকি মন্ত্রী নিজেও বলেছিলেন ডিসেম্বর নাগাদ পদ্মা সেতু চালু হবে।
তবে আজ বললেন ভিন্ন কথা। জানালেন, আগাম কথা না বলে, সময় একটু বাড়িয়ে বলতে চান তিনি।
১২ বছর ক্ষমতায় থেকে মানুষকে কী দিতে পেরেছে আওয়ামী লীগ, এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘সরকারের যে দায়িত্বটি আমি পালন করছি সেখানে চারটি মেগা প্রজেক্ট আছে, সেগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলের কাজ এগিয়ে চলছে। সবগুলো আগামী বছর উদ্বোধন করতে পারব, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য নির্বাচনি চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন। তিনি বলেন, '‘ইশতেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন মূল চ্যালেঞ্জ। করোনা সারা বিশ্বকে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একদিকে করোনাকে মোকাবেলা করছি এবং অর্থনীতিকে সচল রেখেছি।
‘ফরেন কারেন্সি ৪৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ জায়গায় আছে। সবদিক থেকে আমরা আগাচ্ছি, ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে আগাচ্ছি। করোনার জন্য অনেকে কাজ হারিয়েছে, বেকার হয়েছে। তাদের পুনর্বাসন করা এবং কাজ দেয়া একটা চ্যালেঞ্জ। আমাদের ইশতেহারে আছে বেকারদের কর্মসংস্থান।’
মন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত আছে, সেটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। টিকার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, জানুয়ারির শেষ নাগাদ টিকা আসতে পারে।
সরকার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকায় অসম্পূর্ণ কাজ সম্ভব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
‘আমাদের দেশে এক সরকার গেলে অন্য সরকার সেটি বাতিল করে। এমনও হতে পারে আওয়ামী লীগ করেছে বলে পদ্মা সেতু ভেঙে দেই। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় থাকতে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘আজ সৈয়দ আশরাফের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতিচারণ করছি। তিনি আওয়ামী লীগ নেত্রীর প্রতি আস্থাশীল ছিলেন। তিনি দলের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমি আজ তাকে পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
‘পাশাপাশি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ অসুস্থ। তিনি আমার এলাকার মানুষ। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’