বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা বিবেচনায় মীর নাছিরকে জামিন

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:৫৫

এ আদেশের ফলে মীর নাছিরের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে জামিন দিয়েছে আপিল বিভাগ।

এ আদেশের ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে মীর নাছিরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আদালত মীর নাছিরকে জামিন দিয়েছে।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মীর নাছির গত ৮ নভেম্বর আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর নাছির জামিন চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করলে গত ১৩ ডিসেম্বর শুনানি নিয়ে আদালত আবেদনটি ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করে। আজ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করে।

দুর্নীতির মামলায় নাছিরকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছর এবং তার ছেলে মীর হেলালকে দেয়া ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে গত বছরের ১৯ নভেম্বর রায় দেয় হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের এ রায় বিচারিক আদালতে পৌঁছার তিন মাসের মধ্যে তাদের সেখানে (বিচারিক আদালত) আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।

মীর নাসির ও মীর হেলাল আপিল বিভাগে আত্মসমর্পণ করে লিভ টু আপিল করেছিলেন। একই সঙ্গে জামিন চেয়েছিলেন। আপিল বিভাগ তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর গুলশান থানায় দুদক মামলা করে। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত নাছিরকে ১৩ বছর ও মীর হেলালকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে মীর নাসির ও মীর হেলাল হাইকোর্টে আলাদাভাবে আপিল করেন। ২০১০ সালের আগস্টে হাইকোর্ট মীর নাসির ও মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেয়।

হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল আবেদন করে দুদক। শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বাবা-ছেলের করা আপিল হাইকোর্টে ফের শুনানির নির্দেশ দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর