বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নড়াইলে মাদ্রাসায় নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:১৯

পাঁচটি পদের বিপরীতে ৬৮ জন আবেদন করলেও তিন জনের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তাদের নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নড়াইল সদর উপজেলার জুড়ালিয়া আলিম মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষসহ পাঁচটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রী অফিস সহকারী পদের জন্য আবেদন করলেও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি রয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, আবেদনকারীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করেই পোস্টাল অর্ডারের টাকা ভেঙে ফেলা হয়েছে। পাঁচটি পদের বিপরীতে ৬৮ জন আবেদন করলেও তিন জনের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তাদের নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জুড়ালিয়া আলিম মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের আবেদন যাচাই-বাছাই কমিটির এক সদস্য জানান, ওই মাদ্রাসার নবসৃষ্ট উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, আয়া ও নৈশপ্রহরী নিয়োগের জন্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে অফিস সহকারী, আয়া ও নৈশ প্রহরী পদে কত জন করে নিয়োগ দেয়া হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গত ২০ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইকালে আবেদনপত্রের সঙ্গে কোনো পোস্টাল অর্ডার পাননি।

নিয়োগ বিধিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা বা সদস্যের কোনো আত্মীয় নিয়োগের আবেদন করলে সেই কর্মকর্তা বা সদস্য নিয়োগ বোর্ডে অথবা নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু মাদ্রাসার সভাপতি মো. আতাউর রহমানের স্ত্রী সারমিন সুলতানা অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের একজন প্রার্থী হলেও এ বিধি উপেক্ষা করে মাদ্রাসার সভাপতিকে নিয়োগ বোর্ডে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

নৈশ প্রহরীর শূন্য পদে আট জন আবেদন করেছেন। প্রায় নয় মাস আগে নৈশপ্রহরী পদে আরও এক বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় এবং সে সময় নয় জন আবেদন করেন।

নতুন বিজ্ঞপ্তিতে পুরনোদের আবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য বা নতুন করে আবেদনের কথা কিছু লেখা নেই।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, মাদ্রাসায় পাঁচটি পদে ৬৭ জন আবেদন করলেও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং নৈশপ্রহরী পদের তিন জনের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছে।

এ ছাড়া শুধু ওই পদের তিন জনকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে পরীক্ষার প্রতিনিধি চেয়ে চিঠি দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।

এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম নিউজবাংলাকে বলেন, কাউকে নিয়োগের নিশ্চয়তা দেয়া বা কারও কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্ত্রীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি তিনি পরে শুনেছেন। এ ছাড়া সভাপতির কোনো আত্মীয় প্রার্থী হলে তিনি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি থাকতে পারবেন না, এ সম্পর্কে নিয়োগ বিধিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই।

তিনি বলেন, নিয়োগ প্রার্থী বেশি হওয়ায় এক দিনে যাতে ঝামেলা না হয়, সে জন্য শুধু তিনটি পদে নিয়োগ দেয়ার চিঠি দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে পোস্টাল অর্ডার ভাঙিয়ে সব টাকা মাদ্রাসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোনো ভুল নেই।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আতাউর রহমানকে ফোন করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) সাইফুল ইসলাম বলেন, যাচাই-বাছাই কমিটিকে অবগত না করে পোস্টাল অর্ডার ভাঙানো অপরাধের শামিল। এখানে আইন ভঙ্গ করা হয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতির কোনো আত্মীয় প্রার্থী হলে তিনি ওই নিয়োগ পরীক্ষার সভাপতি হিসেবে থাকতে পারবেন না। এ ছাড়া কাউকে চাকরি দেয়ার নাম করে যদি অর্থ নেয়া হয় তাহলে এর প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর