আওয়ামী লীগের এক নেতার ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দিতে আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীকে (পিএ) ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরেক আওয়ামী লীগ নেতা।
রাজধানীর গুলশানে আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার আমির হামজা কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি আখাউড়ার আ. লীগ নেতার ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দিতে আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীকে ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর পিএ শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার আইনমন্ত্রীর গুলশানের ১১৩ নম্বর রোডের অফিসে আসেন আমির হামজা। তিনি আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়ের ভাটামাতা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুর মিয়ার ছেলে হাসিবুল হাসানের কিশোরগঞ্জ আদালতে চাকরির কথা বলেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয় তার।
শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, আমির হামজা এসেছিলেন চাকরিটি নিশ্চিত করার জন্য। তিনি আমাকে বলেন মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে চাকরিটা পাইয়ে দিলে আমাকে নাকি খুশি করবেন।
‘পরে আমি তাকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুর মিয়া বিষয়টি জানেন কি না জিজ্ঞেস করি। জিল্লুর মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি তিনিও ঘুষের বিষয়টি জানেন। এক পর্যায়ে মন্ত্রী মহোদয়কে বিষয়টি জানালে তিনি গুলশান থানায় ফোন করে আমির হামজাকে পুলিশে দেন।’
এ ব্যাপারে কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হামজা এলাকার বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। মন্ত্রী মহোদয় চাকরির ব্যাপারে কখনও কারও কাছে থেকে টাকা নেননি। হামজার বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’