জিডিপি ও মাথাপিছু আয়সহ অর্থনৈতিক নানা সূচকে বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে দাবি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের।
চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর কানেক্টিং সড়কের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে শনিবার সকালে সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের টেলিভিশনের টকশোতে আলোচনা হয় আমাদেরকে দয়া করে একজন শেখ হাসিনা দাও, আমাদের দেশকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। ভারতের বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতেও আলোচনা হয়। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জিডিপি গ্রোথ রেট এবং মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে বলে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত হলেও দেশের একটি পক্ষ কখনও প্রধান মন্ত্রীর প্রশংসা করতে পারেন না।’
‘দেশে এত উন্নয়ন হয়েছে সেটি তারা যেন দেখতে পান না, চোখ থাকতেও তারা অন্ধ। নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা থাকবে, তাদের চোখটা অন্ধের মতো কাজ করবে না, চোখ খুলে তারা এসব বিষয় দেখবে, এটি হচ্ছে জনগণের প্রত্যাশা।’
বিএনপি অভিযোগের ‘বাক্স’
দেশে চলমান পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩টি পৌরসভায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটারের অংশগ্রহণ থাকলেও মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে বিএনপি। বাকি ১৮টিতে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী। একটিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
ব্যাপক অংশগ্রহণের পৌর নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিএনপি। এ প্রসঙ্গে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘যে কোনো নির্বাচন আসলে বিএনপি অভিযোগের বাক্স খুলে বসে। এটা তাদের চিরাচরিত নিয়ম।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্বাচনগুলো পরিচালনা করছে, জনগণের দৃষ্টিতে তারা অত্যন্ত সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছে। দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনের মতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে।’
চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন
চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়নের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী, পৌনে এক কোটি মানুষের শহর চট্টগ্রাম। এই শহরের উন্নয়নের সঙ্গে দেশের উন্নয়ন যুক্ত। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে পুরো দেশের উন্নয়ন। সে কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় চট্টগ্রামের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।’
চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়নে বড় ধরনের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জানালেন হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম শহরের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আউটার রিং রোড হয়েছে। এই আউটার রিং রোডের সঙ্গে কানেক্টিং কিছু রোডের প্রয়োজন। বিদ্যমান প্রকল্পের পাশাপাশি সিডিএ নতুন প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে।
কর্ণফুলিতে টানেলের কাজ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের মধ্যেই তা চালু করা যাবে বলে জানালেন তথ্যমন্ত্রী।
‘কর্ণফুলি বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা আশা করছি আগামী বছর কর্ণফুলি টানেল আমরা চালু করতে পারব। এটি উপমহাদেশে প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল রোড।’