পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর পান্থপথে বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
পান্থকুঞ্জ পার্কের ভেতরের অংশ থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা শহরের পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব (খাল ও ড্রেনেজ) ঢাকা ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওই দিন রাজধানীর এক হোটেলে ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস শনিবার থেকে ঢাকার জিরানি, মান্ডাসহ তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট (পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা) থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরুর জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব খাল ও বক্স কালভার্টের পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।
শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে থাকা ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘পান্থকুঞ্জ পার্ক থেকে শুরু হয়ে কালভার্টটি শেষ হয়েছে ধানমন্ডি রাসেল স্কয়ারে। এ অংশে মোট সংযোগ মুখ রয়েছে ২৪টি।
‘কালভার্টটির এ অংশে থাকা কঠিন বর্জ্য অপসারণের পরও যদি তা প্রবহমান না হয়, তাহলে কালভার্টের ভেতরে অক্সিজেন দিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নামিয়ে দিয়ে তা পরিষ্কার করা হবে। কালভার্টটি পুরোপুরি প্রবহমান করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।’
দুপুর দেড়টার দিকে পান্থকুঞ্জ পার্কে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী।
তিনি বলেন, ‘ওয়াসার কাছ থেকে খাল, নালা ও বক্স কালভার্টগুলো বুঝে নেয়ার যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, সে অনুযায়ী আগামী দুই বছর সিটি করপোরেশনকে প্রশিক্ষিত লোকবলসহ সব ধরনের কারিগরি ও যান্ত্রিক সহযোগিতা দেবে ওয়াসা। এর মধ্য দিয়ে সিটি করপোরেশন এ কাজে তাদের নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে তুলবে।’
পরিদর্শনে আসা ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর বদরুল আমিন আগামী বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে ৩১ মার্চের মধ্যে জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর খালসহ দুটি বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘বক্স কালভার্টগুলোতে এমনভাবে আবর্জনা জমে আছে, যা পরিষ্কার করা সহজ নয়। এ জন্য এসক্যাভেটরের পাশাপাশি ভেতরের অংশের ময়লা পরিষ্কারের জন্য সাকার মেশিনসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা আছে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, পান্থকুঞ্জ পার্কের ভেতর একটি সংযোগ মুখে এসক্যাভেটর দিয়ে ময়লা তোলা হচ্ছে। কাজ করছেন বেশ কয়েক জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
অপসারিত ময়লার ড্রাম ট্রাকে তুলে মাতুয়াইল ময়লার ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়া হবে।