বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লন্ডন ফ্লাইট নিয়ে সিলেটে উদ্বেগ

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:০৮

প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ বিমানের দুটি ফ্লাইট লন্ডন থেকে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে আসে। এছাড়া প্রতি বুধবার একটি ফ্লাইট সিলেট থেকে লন্ডনে যায়। গত ডিসেম্বরে আটটি ফ্লাইটে এক হাজার ২২৬ যাত্রী যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট এসেছেন।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) সংক্রমণের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে এখনও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিমান চলাচল অব্যাহত রয়েছে। এমন বাস্তবতায় লন্ডন থেকে আসা যাত্রীদের কাছ থেকে নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত ২৮ ডিসেম্বর ১৬৭ যাত্রী নিয়ে একটি ও ৩১ ডিসেম্বর ২২৩ যাত্রী নিয়ে বিমানের আরেকটি ফ্লাইট লন্ডন থেকে সিলেট আসে।

যুক্তরাজ্য থেকে এখনও যাত্রী আসা অব্যাহত থাকায় দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কারণে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট আপাতত বন্ধ রাখারও দাবি উঠেছে।

ভারতে যুক্তরাজ্যফেরত ছয় জনের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় আশঙ্কা আরও বেড়ে গিয়েছে।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় মনে করছেন, করোনার নতুন ধরনটির সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ আপাতত বন্ধ রাখা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘এটি সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকার ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে কিছুদিন বিমান চলাচল বন্ধ রাখা উচিত। কারণ নতুন ধরন সম্পর্কে আমরা এখনও তেমন কিছুই জানি না। এটি ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে।’

ওসমানী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ বিমানের দুটি ফ্লাইট লন্ডন থেকে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে আসে। এ ছাড়া প্রতি বুধবার একটি ফ্লাইট সিলেট থেকে লন্ডনে যায়। গত ডিসেম্বরে আটটি ফ্লাইটে এক হাজার ২২৬ যাত্রী যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট এসেছেন।

২৮ ডিসেম্বর লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ২০২ ফ্লাইট দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সিলেটের ১৪৪ যাত্রীকে নামিয়ে বাকি ২৭ যাত্রী নিয়ে এক ঘণ্টা পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানটি।

৩১ ডিসেম্বর আসা বিমানের ফ্লাইটে ২২৩ যাত্রীর মধ্যে ২০২ জনই সিলেটের।

নতুন ধরনের ও অধিক সংক্রামক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনও সে ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশির ভাগই সিলেটের বাসিন্দা। তাই এই অঞ্চলে সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, ‘করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া এখন কাউকেই বিমানে উঠতে দেয়া হয় না। দেশে আসার পরও বিমানবন্দরে মেডিক্যাল টিম সব যাত্রীকে করোনা সনদ পরীক্ষা করে। ফলে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া কারোই দেশে আসার সুযোগ নেই।’

গত ২৮ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে লন্ডন থেকে কেউ দেশে এলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে নিজ খরচে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, ‘যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে গত মঙ্গলবার বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে বৈঠক করেছি। ১ জানুয়ারি থেকে যারা দেশে আসবেন, তাদের অবশ্যই বিভিন্ন হোটেলে নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। হোটেল আমরা ঠিক করে দেবো। তবে সব ব্যয় তাদেরই বহন করতে হবে।’

সিলেটে প্রবাসীদের সেবা প্রদানকারী সংস্থা ওভারসিজ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক শামসুল ইসলাম জানান, সিলেটের অর্থনীতি অনেকটাই যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের ওপর নির্ভশীল। শীতের সময় যুক্তরাজ্য থেকে প্রবাসীরা দেশে আসেন। লন্ডন-সিলেট ফ্লাইট বন্ধ করে দিলে তারা দেশে আসতে পারবেন না। এতে এখানকার অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।

তিনি আরও জানান, অর্থনীতির সঙ্গে স্বাস্থ্যগত দিকও বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেখানে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে অন্যকিছুর বিবেচনা প্রধান নয়।

এ বিভাগের আরো খবর