বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এলপিজি টার্মিনাল-সিলিন্ডার কারখানা বানাবে বিপিসি

  • অরুণ কর্মকার, কন্ট্রিবিউটর রিপোর্টার   
  • ১ জানুয়ারি, ২০২১ ২৩:৫৪

এলপি গ্যাস টার্মিনালের জন্য ইতোমধ্যে মাতারবাড়ীতে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা কক্সবাজার জেলা প্রশাসন অধিগ্রহণ করবে। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার তৈরির কারখানায় বছরে ২০ লাখ সিলিন্ডার তৈরি করা যাবে।

কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে বৃহদাকারে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপি গ্যাস) আমদানির জন্য একটি টার্মিনাল স্থাপন এবং টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার তৈরির একটি কারখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

বিপিসির সূত্র জানায়, মাতারবাড়ীতে টার্মিনাল স্থাপন করা হলে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে এলপি গ্যাসের কাঁচামাল (প্রোপেন ও বিউটেন) আমদানি করা যাবে। মাতারবাড়ীতে এক লাখ টন বা তারও বেশি পরিমাণ ধারণক্ষম জাহাজ আনার মতো পানির গভীরতা রয়েছে।

বেসরকারি খাতের বিভিন্ন কোম্পানি এখন সাধারণত ১০ হাজার টনের বেশি ক্ষমতার জাহাজে কাঁচামাল আমদানি করতে পারে না। কারণ মোংলা বন্দরে এর চেয়ে বেশি ধারণক্ষমতার জাহাজ আসার মতো গভীরতা নেই পানির। ফলে তাদের আমদানি মূল্য বেশি পড়ে।

মাতারবাড়ী বন্দরে ভিড়ছে অধিক ধারণক্ষমতার জাহাজ

মাতারবাড়ীতে বিপিসির টার্মিনাল স্থাপিত হলে বেসরকারি কোম্পানিগুলো সেখান থেকে সহজে কাঁচামাল আনা-নেয়া করতে পারবে। তাতে তাদের দাম পড়বে কম। ফলে তারা গ্রাহকদের অপেক্ষাকৃত কম দামে এলপি গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এলপি গ্যাস টার্মিনালের জন্য ইতোমধ্যে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা কক্সবাজার জেলা প্রশাসন অধিগ্রহণ করবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। প্রকল্পটি অভিজ্ঞ কোনো সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হবে।

বিপিসি সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার তৈরির যে কারখানাটি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেটিতে বছরে ২০ লাখ সিলিন্ডার তৈরি করা যাবে। সিলিন্ডারগুলো হবে আন্তর্জাতিক মানের। ফলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা ঘটবে না। বিপিসির অঙ্গ (সাবসিডিয়ারি) প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেড এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। গত ২৯ নভেম্বর বিপিসির চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এলপি গ্যাস কোম্পানির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ বিষয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপাতত আমরা নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) করব। তার ফলাফলের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।’

বর্তমানে বসুন্ধরা এবং ওমেরা দেশে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার তৈরি করছে। তবে অধিকাংশ সিলিন্ডার এখনও বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর