প্রায় পৌনে চারশ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কে ৪৬ হাজার ৪১০টি এলইডি বাতি বসাতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। বাতিগুলো আনা হয়েছে ইউরোপ থেকে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, (আইএবি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের উদ্বোধন হয়।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সবগুলো বাতি স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি।
যে বাতি বসানো হচ্ছে, তার মধ্যে ১৫০ ওয়াটের তিন হাজার ৪০৮টি, ১২০ ওয়াটের তিন হাজার ৬৪৬টি, ৯০ ওয়াটের তিন হাজার ২৯টি, ৬০ ওয়াটের ১০ হাজার ৬৬৬টি এবং ৪০ ওয়াটের ২৫ হাজার ৬৬১টি।
অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুরুতে এই প্রকল্পে ছিল ২২ হাজার লাইট। আমরা তা ৪৬ হাজারে উন্নীত করতে পেরেছি।’
একেকটি বাতির আয়ুষ্কাল ২২ বছর জানিয়ে তিনি বলেন ‘প্রতিটি লাইট ইউরোপ থেকে আনা হয়েছে। বুয়েট থেকে বলা হয়েছে এই লাইট চোখের জন্য টোটালি সেইফ।’
ইউরোপ থেকে আনা এসব এলইডি লাইট লাগানো হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাস্তায়।
প্রতিটি বাতির আয়ুষ্কাল এক লাখ ঘণ্টা। প্রতিটি বাতির ১০ বছরের ওয়ারেন্টি রয়েছে।
মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি আগামী পাঁচ বছর বাতিগুলো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে।
বাতিগুলো বিদ্যুৎ খরচ বাড়াবে না। তবে আলোর মান বাড়বে।
বাতিগুলো সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে অন-অফ করানো যাবে। আলো কমানো-বাড়ানোর সুযোগও আছে। কোথাও কোন বাতি বন্ধ থাকলে কেন্দ্র থেকে তার অবস্থান জানা যাবে।
৩৬৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পের ৮০ শতাংশ অর্থায়ন করেছে সরকার। বাকি ২০ শতাংশ বা প্রায় ৭০ কোটি টাকা দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
মেয়র বলেন, ‘আমাদের অনেক টাকা দিতে হয়েছে। তবুও আমরা রাজি হয়েছি। আমরা চাই আলোকিত ঢাকা।’
ঢাকা উত্তরের রাস্তায় বসছে ইউরোপের এলইডি লাইট
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা শহরে অনেক সমস্যা ছিল। অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। আগামীতে দৃষ্টিনন্দন বসবাসের উপযোগী শহরে রূপান্তরিত করার জন্য আমরা আমাদের স্ব স্ব স্থান থেকে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে কাজ করে শুধু ঢাকা না সারা দেশকে আমরা উন্নত দেশে রূপান্তর করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে ঢাকার খাল নিয়েও কথা বলেন মেয়র আতিকুল। তিনি বলেন, ‘খাল যারা দখল করে আছে তাদের জন্য ম্যাসেজ দিতে চাই, আপনারা চলে যান। আপনারা খালের পার দখল করে থাকতে পারবেন না।
‘সিএস ম্যাপ দেখেই আমরা খালের সীমানা নির্ধারণ করব। আমরা মহানগরের জরিপ দিয়ে কিন্তু খালের মাপ নির্ধারণ করব না।’
সম্প্রতি রাজধানীর খালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসা থেকে গ্রহণ করেছে দুই সিটি করপোরেশন।