বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙার চেষ্টা, হাতেনাতে আটক

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৩৭

আটক ব্যক্তির নাম নূর আলম। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে শহরের রঘুনাথপুর গ্রামে। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। তার কোনো রাজনৈতিক বা কোনো সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি এখনও।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করার সময় এক জনকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। নাম ও ঠিকানা জানা গেলেও তার রাজনৈতিক পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করা নিয়ে উত্তেজনা প্রশমিত হতে না হতেই শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তির নাম নূর আলম। তার বাড়ি শহরের রঘুনাথপুর গ্রামে, পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। তার কোনো রাজনৈতিক বা কোনো সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি এখনও।

পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, মাথায় টুপি পরা আনুমানিক ৪২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বিকালে শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ইট দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এতে ম্যুরালের একটি অংশ ভেঙে যায়। তবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির কোনো বিকৃতি হয়নি।

ওসি বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। হাতেনাতে আটক করা হয় তাকে।’

বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। সেই সঙ্গে কেন তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, সেটিও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।

ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম।

ইউএনও রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

২০১৯ সালের মার্চের শেষ দিকে পীরগঞ্জে জাতির পিতার এই ম্যুরালটি তৈরি করা হয়।

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের মাঠে নামার পর ডিসেম্বরের শুরুতে কুষ্টিয়ার পাঁচ রাস্তা মোড়ে জাতির পিতার নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং তাদের দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইবনি মাসউদ নামে ওই মাদ্রাসাটি চরমোনাইয়ের পীরের অনুসারী। ওই মাদ্রাসার চার জন এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা এখন কারাগারে বন্দি।

ভাস্কর্য ভাঙচুরে যে দুই কওমি ছাত্রের নাম এসেছে, তারা পুলিশকে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা ফয়জুল করীমের ভাস্কর্যবিরোধী বয়নে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা এই কাজ করেছেন।

গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে কুষ্টিয়ার পাঁচ রাস্তা মোড়ে জাতির পিতার নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। সেটির পুনর্নির্মাণ কাজ চলছে

ধর্মভিত্তিক দল ও সংগঠনগুলো এখন অবশ্য ভাস্কর্য নিয়ে আর সেভাবে কথা বলছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে কওমি নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে তারা আর মাঠে নামবে না।

তবে কুষ্টিয়াতেই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা বাঘা যতীনের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই বিপ্লবী নেতার নামে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক পক্ষকে ফাঁসাতে রাতের আঁধারে ভাস্কর্যটি ভাঙা হয়।

গত ১৯ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক যুবলীগ নেতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর