বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্ব নতুন ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হবে: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:০৯

দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে খ্রিষ্টীয় নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এ আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে খ্রিষ্টীয় নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার এক বাণীতে এ শুভেচ্ছা জানিয়ে ২০২১ সালে বিশ্ব এক নতুন ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারি বিশ্ববাসীকে এক কঠিন বার্তা দিয়েছে। যতই উন্নত হোক না কেন, একা কোনো দেশ শ্রেষ্ঠত্বের দাবি নিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই যে কোনো বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। আমাদের সকলকে এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।’

পাশাপাশি তারুণ্যের শক্তি ও প্রযুক্তি জ্ঞান কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে ধর্মীয় উগ্রবাদসহ যে কোনো সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ।

‘আসুন আমরা নতুন বছরে প্রতিজ্ঞা করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করব।’

নতুন বছরে ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে মানুষে-মানুষে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার, সকল সংকট মোকাবিলার শক্তি দান, সবার জন্য অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি চেয়ে প্রার্থনাও রেখেছেন শেখ হাসিনা।

বাণীতে ২০২০ কে বাঙালি জাতির জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। মুজিব শতবর্ষের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী করেন, ‘‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে আমরা ২০২০-২০২১ সময়কে ‘মুজিববর্ষ' ঘোষণা করেছি।’’

করোনা মহামারিতে বিশ্ব মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছি। ক্রান্তিকাল উত্তরণে ডাক্তার-নার্স-টেকনিশিয়ান নিয়োগ করেছি। দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ২১টি প্যাকেজের আওতায় এক লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছি।’

গত এক যুগে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত জনকল্যাণমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে গত অর্থবছরের ৮.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হতো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বলেন, ‘গোটা বিশ্ব যেখানে প্রবৃদ্ধির ঋণাত্মক হার ঠেকাতে ব্যতিব্যস্ত, সেখানে করোনাকালেও আমরা ৫.২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।

‘আমরা দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে এনেছি। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। স্বাস্থ্যখাতেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছি, এখন আমাদের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৬ বছর। ৯৭.৫ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রীর বাণীতে উঠে এসেছে প্রমত্তা পদ্মার বুকে পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান হওয়ার বিষয়টিও। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সকল স্প্যান বসানোর ফলে বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা নদীর দু’প্রান্ত এখন সংযুক্ত।

‘রাজধানীতে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করেছি।’

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ছাড়িয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রথম বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প-২০২১ অর্জন প্রায় শেষ। মুজিববর্ষে আমরা অঙ্গীকার করেছি কেউ গৃহহীন থাকবে না। শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পৌছে দেব।

‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। ২৬ মার্চ ২০২১ আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করব।’

এ বিভাগের আরো খবর