শেখ হাসিনার মতো বিদ্যানুরাগী প্রধানমন্ত্রী এখন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান থাকায় নতুন প্রজন্ম সত্যিই মহাসৌভাগ্যবান বলে মনে করেন তার সহকারী প্রেস সচিব-১ এম.এম. ইমরুল কায়েস।
বৃহস্পতিবার গণভবনে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আর নিজের কৈশরের স্মৃতির প্রসঙ্গ টেনে ফেসবুকে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব-১ ইমরুল কায়েস ফেসবুক পোস্টে নতুন বইয়ের জন্য তাদের নিম্ন মধ্যবিত্ত পিতার সঙ্গে লাইব্রেরিতে যাওয়ার,বাকিতে বই কেনার, বইয়ের মলাট দেয়ার জন্য ম্যাগাজিন কেনার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। জানিয়েছেন নতুন বই নিয়ে ভাইবোনদের মাতামাতি এবং তাদের বাবার সাধ, সাধ্য ও ভালোবাসার কথা। যেসব স্মৃতি তার বারবার মনে পড়েছে গণভবনে বই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
ইমরুল কায়েস লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গণভবনে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য নিজস্ব ভাষায় পাঠ্যপুস্তক এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির বইসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সারাদেশে সর্বমোট ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১২ খানা পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। পৃথিবীতে এরকম এত বিশাল বই উৎসব আর একটিও নেই!’
‘কৈশোরের কথা মনে পড়ে যায়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব-১ লিখেছেন, ‘আমাদের সময়ে শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হতো। বই কেনার জন্য স্কুল থেকে বুক লিস্ট দেয়ার পরপরই আমাদের তিন ভাই-বোনকে বাজারের লাইব্রেরিতে আব্বা নিয়ে যেতেন। বইয়ের মলাট দেওয়ার জন্য চাইনিজ এক প্রকার ম্যাগাজিনও কেনা হতো।
‘আমার নিম্ন মধ্যবিত্ত পিতা তিন ভাগের এক ভাগ টাকা পরিশোধ করতেন, আর অবশিষ্ট দুই ভাগ বাকি রেখে আসতেন। রাতে নতুন বই নিয়ে আমাদের সে কি মাতামাতি! নতুন বইয়ের গন্ধ শুকতাম, পাতা উল্টিয়ে উল্টিয়ে বিষয়বস্তু ও ছবি দেখতাম। আব্বা ওই রাতেই আমাদের তিন ভাইবোনকে পাশে বসিয়ে সমস্ত বইয়ের মলাট চাইনিজ ম্যাগাজিন ও পুরনো বছরের ক্যালেন্ডার দিয়ে করে দিতেন।’
ইমরুল কায়েস লিখেছেন, ‘‘সকালে গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বসে হঠাৎই স্মৃতিকাতর হয়ে উঠি। শেখ হাসিনা তার বক্তৃতার এক পর্যায়ে বলেন- ‘আমাদের অভিভাবকদের ভার লাঘব করার জন্য ২০১০ সাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু করি।’ আসলেই এটি বিরাট ভার লাঘব। আমার অসচ্ছল পিতার লাইব্রেরিতে টাকা বাকি রাখার কথা বারবার মনে পড়ছিল।’’
তিনি বলেন, ‘সত্যিই নতুন প্রজন্ম মহাসৌভাগ্যবান- শেখ হাসিনার মতো বিদ্যানুরাগী প্রধানমন্ত্রী এখন বাংলাদেশের সরকার প্রধান!’
ফেসবুক পোস্টের শেষে সবাইকে খ্রিস্টীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব-১ ইমরুল কায়েস।