বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৮৮ লাখ মানুষ ভাতা পাবে মোবাইল ফোনে

  •    
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:৫৭

১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় প্রথম বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা চালু হয়। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকারে ফেরার পর এই বেষ্টনীর আওতা বাড়ে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেশের ৮৮ লাখ ৫০ হাজার মানুষের ভাতার টাকা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে পাঠাবে সরকার। এতে ভাতা বিতরণে যে দুর্নীতি হয়, তার অবসান হতে যাচ্ছে।

আগামী ১৪ জানুয়ারি এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ লক্ষ্যে মোবাইলে অর্থনৈতিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ ও ‘বিকাশ’ এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি সুবিধাভোগীদের কাছে ভাতা পাঠানোর এই চুক্তিটি সই হয়।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘এই চুক্তির মধ্য দিয়ে গরিব, দুখি মানুষের কাছে ভাতা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে নতুন ধারার সূচনা হলো।’

১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় প্রথম বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা চালু হয়। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকারে ফেরার পর এই বেষ্টনীর আওতা বাড়ে। ভাড়ার পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়ানো হয় ব্যাপক হারে। বর্তমানে প্রায় এক কোটি মানুষকে সমাজকল্যাণের মাধ্যমে ভাতা দেয়া হচ্ছে।

শুরুতে ভাতা বিতরণ করা হতো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে কমিশন কেটে রাখার অভিযোগ ওঠে নানা সময়। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সরকার যে উপবৃত্তি দেয়, সেখানেও এই অভিযোগ ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী অভিভাবকের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে টাকা পাঠানো উদ্বোধন করার পর এই অভিযোগগুলো আর আসেনি।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চারটি কর্মসূচির আওতায় ৪৯ লাখ মানুষকে বয়স্ক ভাতা, ২০ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, ১৮ লাখ প্রতিবন্ধী ভাতা এবং এক লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মোট সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৮৮ লাখ ৫০ হাজার। তাদের জন্য বছরে ব্যয় হয় পাঁচ হাজার ৮৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে চুক্তি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং ‘নগদ’ ও ‘বিকাশ’-এর কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর