খ্রিষ্টীয় নববর্ষকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবুও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, বাইরে উদযাপনে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট, বাড়ানো হয়েছে টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে ডিএমপি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, গুলশান-বনানী এলাকায় এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
আরও পড়ুন: থার্টি ফার্স্ট নাইটে যত মানা
বিকেল ৫টা থেকেই হাতিরঝিলের প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, বিকেল ৫টার পর হাতিরঝিলে যারা প্রবেশ করতে চাচ্ছে তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি। ভেতরে যারা রয়েছে তাদেরও বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নামে বিচ্ছৃঙ্খল আচরণ না করাসহ ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। এসব নির্দেশনায় রয়েছে, প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব না করা। আতশবাজি বা পটকা না ফোটানো।
এ ছাড়া বিশেষ এলাকাগুলো চলাচলে দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগত ও যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলোতে ইতিমধ্যে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড।
রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বহিরাগত কাউকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া ভেতরেও কেউ যাতে জমায়েত করতে না পারে সেজন্য আমাদের টহল রয়েছে।’
ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে এসব এলাকায় বসবাসকারীরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
গুলশান-বনানী এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই চেকপোস্টগুলোতে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো হুমকি নেই। তবে বিশেষ এলাকা হিসেবে নিরাপত্তা বাড়াতে হয়েছে, যা বরাবরই করা হয়ে থাকে।’
ঢাকা মহানগরীর কোনো বার ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর খোলা না রাখার নির্দেশ দিয়েছে ডিএমপি। রাত ১০টার পর বন্ধ হবে সব ফাস্টফুডের দোকান।
পুলিশের পাশাপাশি রাজধানীতে র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত টহল বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে র্যাব কাজ করবে। আমাদের ফিজিক্যাল পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি সাইবার পেট্রোলিং থাকবে।’