বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বের গল্প ভিডিওতে ধারণের প্রকল্প

  •    
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৩৩

‘আমরা যারা যুদ্ধ করেছি, আমাদের জীবদ্দশায় যদি এভাবে (ইতিহাস) বিকৃত হয়, আর যেদিন আমরা থাকব না, সেদিন কী হতে পারে একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।’

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ধারণ করে তা সংরক্ষণ করতে চায় সরকার।

দেশের সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ দিনের গল্পের ভিডিও ধারণ করে তা আর্কাইভ করা হবে। আর ‘বীরের কণ্ঠে বীরগাথা’ নামের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করে এ কথা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সভা করেছে মন্ত্রণালয়। দু-তিন মাসের মধ্যেই কাজটি শুরু করতে চান বলে জানান মন্ত্রী।

‘খুব দ্রুতই এটা আমরা আরম্ভ করতে যাচ্ছি। জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মৌখিক ভার্শন আমরা শুনতে চাই। ১৫-২০ মিনিটে আমরা আর্কাইভে রেকর্ড করে রাখব। যতদিন এই পৃথিবী থাকে, বাংলাদেশ থাকে ততদিন যেন সংরক্ষিত হয়।’

একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা পেলেন, তার অভিজ্ঞতা, সহযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ সব কিছুই থাকবে এই ভিডিওতে।

আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেকর্ড করবে এবং সেগুলো সারাজীবন সংরক্ষিত থাকবে।’মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ‘অন্ধের হাতি দেখা’

মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ও প্রকৃত ইতিহাস জাতির কাছে তুলে ধরতে ছোট ছোট বই প্রকাশ করার পরিকল্পনার কথাও জানান মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত কোনো বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লেখা হয়নি।

প্রকাশিত বইগুলোতে যতটুকু ইতিহাস লেখা হয়েছে সেটাকে মন্ত্রী বলছেন, ‘অনেকটা অন্ধের হাতি দেখানোর অবস্থা।’

নিজের শৈশবে পড়া ‘অন্ধের হাতি দেখা’ গল্পের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘যে যখন আমরা লিখেছি, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেকেই প্রাধান্য দিয়ে, অ্যাজ ইফ, একাই যুদ্ধ করেছি, অন্যরা সহযোগিতা করেছে। আমিই সব পরিকল্পনা করেছি, নেতৃত্ব দিয়েছি।’

আর সেই কাঠামো ভাঙতেই মন্ত্রী জানালেন, ‘ইতিহাসের আলোকে যার যেটা অবদান সেটা তুলে ধরে, আমরা কম্পাইল করে একটা বই তৈরি করতে পারি।’

এসময় প্রকৃত ইতিহাস জাতির সামনে আনতে নিজের অভিজ্ঞতা লিখতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টার কথা স্মরণ করিয়ে দেন মন্ত্রী।

বলেন, ‘আমরা যারা যুদ্ধ করেছি, আমাদের জীবদ্দশায় যদি এভাবে (ইতিহাস) বিকৃত হয়, আর যেদিন আমরা থাকব না, সেদিন কী হতে পারে একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।’

প্রয়োজনীয় বই না থাকায় মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলে অপপ্রচার চালানোর বা মিথ্যাচারের লিখিত প্রতিবাদ করা সম্ভব হয়নি বলেও আক্ষেপ ঝরে পড়ে মন্ত্রীর কণ্ঠে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য কিছু সংখ্যক লোক চেষ্টা করেছে এটা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করতে। এখনও বিদেশে গেলে যারা ইসলামপন্থি, এদের মগজ এমনভাবে ধোলাই করেছে, অ্যাজ ইফ আমরা কিছুই করিনি, ভারত এসে স্বাধীন করে দিয়ে গেছে পাকিস্তানের হাত থেকে।’

প্রকৃত ইতিহাস ও দলিল না থাকার কারণে এসব মিথ্যাচারের জবাব দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও মনে করেন মোজাম্মেল হক।

এ বিভাগের আরো খবর