পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ‘মূল অধিবাসী কোটার’ বাসিন্দারা।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করা হয়।
পারবর্থা ও বড়কাউ মৌজার ‘মূল অধিবাসীদের পক্ষে’ শেখ রেজা আহমেদ বলেন, রাজউক ও গাজীপুর জেলা প্রশাসক কর্যালয় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে প্লট বরাদ্দে। মূল অধিবাসীদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে প্রভাবশালীদের কারণে।
তিনি বলেন, অপকৌশলে মূল অধিবাসী কোটায় বরাদ্দ প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরিয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সামান্য ত্রুটির অজুহাতে প্রকৃত অধিবাসীদের আড়াল করে প্রভাবশালীদের তালিকা চূড়ান্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, মূল অধিবাসী কোটায় রাজউকের প্লটের জন্য অবেদন করেন ২ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৮৬০ জনের ফাইল পাওয়া গেছে। বাকি ১৪০ জনের ফাইল রাজউক থেকে উধাও। এক হাজার ৮৬০টি আবেদনের ফাইল যাচাই-বাছাই করতে রাজউকের এস্টেট-৩ শাখার উপপরিচালক গোল্ডেন মনিরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হাফিজ গাজীপুর যান। সেখানে যাচাই-বাছায়ের অজুহাতে আর ৯৪৮টি ফাইল ত্রুটিযুক্ত বলে বাদ দেয়া হয়।
শেখ রেজা আহমেদ বলেন, ‘পরবর্তীতে রাজউক ৯১২টি ত্রুটিমুক্ত ফাইলকে আবার গোল্ডেন মনিরের বন্ধু ডিডি হাফিজের কাছে নিলে ৬০০টি ত্রুটিমুক্ত বলে তালিকাভুক্ত করে। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিটি প্লট বরাদ্দের জন্য ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হচ্ছে। ৮০০টি প্লট এসব সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।’
এ সময় তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ বিতরণে ৭০-৮০ শতাংশ ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করেন। ৯০ শতাংশ মূল অধিবাসী অর্থ উত্তোলনে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় ‘মূল অধিবাসী কোটার’ বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে ‘সিন্ডিকেট সদস্যদের’ আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বড়কাউ মৌজার মূল অধিবাসী সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়া, রুবেল হোসেন, খোরশেদ আলম ও শামীম মিয়াসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।