বিএনপির সরকার উৎখাতের ঘোষণার জবাবে আওয়ামী লীগ বলেছে, এই কাজ করতে পারে, এমন কোনো অপশক্তি দেশে নেই। আওয়ামী লীগের শক্তি অনেক গভীরে। যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তির দিনটিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার সরকার বিরোধীরা এই দিনটিকে পালন করেছে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০২১ সালে দেশে নতুন সরকার হবে।
একই দিন দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের আলোচনায় এই হুমকির জবাব দেয়া হয়।
ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘এ সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার। কোনো অপশক্তি এদেশে নাই যে সরকারকে উৎখাত করবে।
‘এটা আরব নয় যে এখানে আরব বসন্ত হবে। আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে। যে কোনো অপতৎপরতা রুখতে আওয়ামী লীগই যথেষ্ট।’
৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হানিফ। বলেন, ‘বিএনপি আজ গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করছে। আমি মির্জা ফখরুলের কাছ জানতে চাই, গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী?
বুধবার বিএনপি প্রেসক্লাবের সামনে 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালন করেছে। ছবি: নিউজবাংলা
‘বিএনপি তো একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। মির্জা ফখরুল তার নিজ আসন ঠাকুরগাঁওয়ে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত হয়েছে। নির্বাচনের দিন দুপুর পর্যন্ত তিনি বলেছেন ভোট ভালো হয়েছে। যখন পরাজয়ের খবর নিশ্চিত হয়েছে তখনই তার সুর পাল্টেছে।’
‘মাছ খাই, মাছের ঝোল খাই না’
আলোচনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছে বলেই তাদের সদস্যরা এখন সংসদে।’
তিনি বলেন, ‘তারা সংসদ সদস্য হিসেবে সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। তারা যে কয়টি আসন পেয়েছিল তাতে পার্লামেন্টারি গ্রুপ গঠন হয় না। তার পরেও সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতায় তাদের একজন সংসদ সদস্য সামনের সারিতে বসার সুযোগ পেয়েছেন। তারা এখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছে, অথচ তাদের আচরণই গণতন্ত্রবিরোধী।’
মতিয়া বলেন, ‘বিএনপির অবস্থা এখন এমন হয়েছে যে, মাছ খাই কিন্তু মাছের ঝোল খাই না। আসলে তাদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নয়। তাদের প্রধান লক্ষ্য এদেশের মানুষ যেন সামনে এগুতে না পারে তা নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন গণ্ডারের মতো আচরণ করছে। গণ্ডারকে যেমন কাতুকুতু দিলে অনেক পরে টের পায়, তেমনি বিএনপিও নির্বাচনের দুই বছর পর বুঝতে পারছে যে নির্বাচন হয়নি। তারা নানা ষড়যন্ত্র করে দেশের শান্তি বিনষ্ট করতে চায়।’
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল বিএনপি। এ জন্যই তারা গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করছে।’
আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান, দীপু মনি, বিপ্লব বড়ুয়াও এ সময় বক্তব্য রাখেন।