ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন মার্কেটের দোকান উচ্ছেদ নিয়ে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তাপস নোংরামি করছেন বলে খোকনের অভিযোগের জবাবে কারও নাম উল্লেখ না করে মেয়র বলেন, তিনি সুশাসন আনতে কাজ করছেন। এতে কেউ লজ্জিত হলে সেটা তার বিষয়। এতে সিটি করপোরেশনের কিছু যায় আসে না।
নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদে ৮ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এবং সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে অভিযান চালাচ্ছে সিটি করপোরেশন। এই দুটি বিপণি বিতানে দেড় হাজারের বেশি দোকান নকশা না মেনে তৈরি করা হয়েছে।
তবে অভিযান চলাকালে দোকানিরা জানান, বরাদ্দ পেতে তারা সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনকে টাকা দিয়েছেন। টাকা নেয়ার রসিদও দেখিয়েছেন বহু দোকানি।
সিটি করপোরেশন জানাচ্ছে, রশিদ দেয়া হলেও তাদের তহবিলে টাকা জমা পড়েনি। আর এরই মধ্যে ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে সাঈদ খোকনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে সাঈদ খোকন এক বিবৃতিতে বলেন, ডিএসসিসির বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস দেলোয়ার হোসেন দেলুকে দিয়ে এসব ‘নোংরামি’ করাচ্ছেন। এতে করে তার নিজের ও দলের ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বুধবার বাসাবোর বালুর মাঠ সংলগ্ন এলাকায় একটি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খোকনের এই বক্তব্যের বিষয়ে তাপসের প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা।
কারো নাম উল্লেখ না করে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘সুশাসিত ঢাকা ছাড়া উন্নত ঢাকা গড়া সম্ভব নয়। সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি এতে হেয় প্রতিপন্ন হন, লজ্জিত হন, সেটা সেই ব্যক্তির বিষয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিষয় নয়।’
বিপণি বিতানে নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদে অভিযান চলবে বলে সাফ জানিয়ে দেন মেয়র। বলেন, ‘কোনোভাবেই এই কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। আমরা কোনোভাবেই এটাতে আপস করব না।’
নগর ভবনের দুর্নীতি নির্মূলের ঘোষণাও দেন মেয়র। বলেন, ‘ডিএসসিসি থেকে ইজারা দেয়া কোনো সম্পত্তি বরাদ্দের পর টোল আদায়ের নির্ধারিত শর্ত ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘ডিএসসিসিতে আর কোনো গাফিলতি, কোনো অসদাচরণ, কোনো আত্মসাৎ ও দুর্নীতির জায়গা নেই এবং থাকবে না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসির ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।