বিএনপিকে আন্দোলন করার পরিকল্পনা ছাড়ার পরামর্শ দিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেছেন, এর আগে তারা দুইবার অসফল আন্দোলনে যে সহিংসতা করেছে, এবার সেটাও করতে দেয়া হবে না।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তিতে বুধবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান।
বিএনপি এই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করলেও আওয়ামী লীগ পালন করছে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় বিক্ষোভে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনের জন্য নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগাদা দেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালে দেশে হবে ‘গণতন্ত্রের সরকার’।
বিএনপিকে আন্দোলনে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে হাছান বলেন, ‘বিএনপিকে অনুরোধ জানাব ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের কথা ভুলে যান। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদেরকে আর কোনভাবেই সেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার সুযোগ দেবে না।’
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বিএনপি ও তার জোটের শরিকরা ব্যাপক সহিংস আন্দোলন করে।
২০১৫ সালে সরকারের এক বছর পূর্তির দিন অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ডাকেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেই আন্দোলনেও ব্যাপক সহিংসতা হয়। তবে এক পর্যায়ে কর্মসূচি অকার্যকর হয়ে পড়ে। এরপর আর বিএনপি কোনো আন্দোলনে যায়নি। আর আওয়ামী লীগের অধীনেই ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যায় বিএনপি ও তার শরিকরা।
বিএনপির সেই আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে হাছান বলেন, ‘আপনারা জনগণের ওপর যেভাবে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন, হাঙ্গামা বাঁধিয়েছিলেন, আবার সেই অপচেষ্টা করলে জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সরকারও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য যে কোনো দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে প্রতিহত করতে বদ্ধ পরিকর।’
বিএনপির আন্দোলনের হুমকি নিয়েও কথা বলেন হাছান। বলেন, ‘বিএনপি আবারও গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।’
একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে হাছান বলেন, ‘সেদিন ষড়যন্ত্র ছিল নির্বাচনকে বানচাল করা। এজন্য বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না এই নিয়ে তারা খোলসা করে শুরু থেকেই কিছু বলেনি।
‘সেটি করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয়কেতন উঠেছে ৩০ ডিসেম্বর। সেজন্য আজকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস।’
বিএনপির বিক্ষোভের সমালোচনা করে হাছান বলেন, ‘ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে তারা হাঙ্গামা বাঁধিয়েছে। অর্থাৎ তারা আবার দেশে একটি গণ্ডগোল পাকাতে চায়।’