বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা স্থানান্তর করে ফাঁকা জায়গায় বৃক্ষরোপণ

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:৪১

কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে থাকা ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে সরকার এক লাখকে ভাসানচরে স্থানান্তর করতে চায়। এরই মধ্যে আড়াই হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই স্থানান্তরের পর ফাঁকা জায়গায় গাছ রোপণ করতে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের পর ফাঁকা জায়গায় বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। বলেন, বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় মাসিক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য শিবির তৈরি করতে কক্সবাজারে ব্যাপক হারে গাছ ও পাহাড় কাটতে হয়েছে।

১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে সরকার এক লাখকে ভাসানচরে স্থানান্তর করতে চায়। এরই মধ্যে আড়াই হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারে সবুজ বেষ্টনী সৃজন, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং ইকো ট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল আউয়াল সরকার বলেন, ‘আরও রোহিঙ্গা স্থানান্তরিত হওয়ার পর জায়গা উন্মুক্ত হলে সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হবে।’

পরিবেশ ও বন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন

এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক হাজার হেক্টর এলাকায় সামাজিক বনায়ন এবং প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় ৫০০ হেক্টর বন সৃজন করা হবে।

দেশীয় প্রজাতির দীর্ঘমেয়াদী বাগান সৃজন কর্মসূচির আওতায় ৪০০ হেক্টর বন তৈরির কথাও জানান তিনি। জানান, ২০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে করা হবে ঝাউ বাগান।

আব্দুল আউয়াল বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ১২ হাজার নারিকেল, পাঁচ হাজার শোভাবর্ধণকারী চারা রোপণসহ পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ স্ট্রিট বনায়ন করা হবে। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের ইকো-ট্যুরিজম সুবিধার উন্নয়ন করা।

সভায় পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহাম্মদ, প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর