২০২০ সালে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৫৯ সদস্যকে পদক দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে বিজিবি সদর দপ্তরের মাল্টিপারপাস সেডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তাদের পদক পরিয়ে দেন।
চার ক্যাটেগরিতে ৫৯ জনের মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম) পেয়েছেন ১০ জন, রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম) ২০ জন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক সেবা (বিজিবিএমএস) ১০ জন ও ১৯ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক সেবা (পিজিবিএমএস) দেয়া হয়েছে।
বিজিবির কর্মকাণ্ডে বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উদ্যোগে বিজিবির সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। ফলে বাহিনীর সক্ষমতা ও কর্মস্পৃহা বেড়েছে। আজ তাদের মনোবল অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক উন্নত।
আগামীতেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সদয় উদ্যোগ ও উদারতা বহাল থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘দেশের সীমান্ত রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ও মহান দায়িত্ব বিজিবির উপর ন্যস্ত। নানান সীমাবদ্ধতা থাকলেও সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষাসহ চোরাচালান, মাদকপাচার ও নারী-শিশুপাচার রোধে বিজিবির সফলতা প্রশংসনীয়।
‘বিশেষ করে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদক পাচার রোধে বিজিবি বিশেষ কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ দেশ গঠনমূলক কাজেও বিজিবি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে এ বছর পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান। ভবিষ্যতে এই সফলতা আরও বৃদ্ধিতে বিজিবি সদস্যদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা, বিজিবির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।